শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: অবশেষে পুঁজিবাজারে শেয়ার কেনায় চেক নগদায়ন সংক্রান্ত জটিলতার অবসান ঘটেছে। কিছু শর্ত আরোপ করে চেকে শেয়ার কেনার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ফলে এখন থেকে ব্রোকারহাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকে চেক দিয়ে তার বিপরীতে শেয়ার কিনতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা।

চেকের পাশাপাশি ব্যাংকের ডিমান্ড ড্রাফট (ডিডি) বা পে-অর্ডারের বিপরীতেও শেয়ার কেনা যাবে। আজ মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) বিএসইসি এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে। বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সূত্র অনুসারে, গ্রাহক কোনো চেক, পে-অর্ডার বা ডিমান্ড ড্রাফটের বিপরীতে শেয়ার কিনলে ওই দিনই অথবা তার পরবর্তী দিনে তা ব্যাংকে উপস্থাপন করতে হবে। যদ কোনো ব্রোকার বা মার্চেন্ট ব্যাংক তা না করে বা করতে ব্যর্থ হয় তাহলে পরবর্তী এক বছরের জন্য ওই প্রতিষ্ঠান আইপিও/আরপিও ও রাইট শেয়ারের কোটা থেকে বঞ্চিত হবে।

যদি গ্রাহকের হিসাবে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকা বা অন্য কোনো কারণে ওই চেক পাশ না হয়, তাহলে তার দায় সংশ্লিষ্ট ব্রোকার বা মার্চেন্ট ব্যাংকের উপর বর্তাবে। ওই ব্রোকার বা মার্চেন্ট ব্যাংকারকে নিজস্ব ব্যাংক হিসাব থেকে সমপরিমাণ অর্থ প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত গ্রাহক অ্যাকাউন্টে জমা করতে হবে। ব্রোকার বা মার্চেন্ট ব্যাংক তা না করে বা করতে ব্যর্থ হয় তাহলে পরবর্তী এক বছরের জন্য ওই প্রতিষ্ঠান আইপিও/আরপিও ও রাইট শেয়ারের কোটা থেকে বঞ্চিত হবে। এর বাইরেও আইন অনুসারে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

যদি সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের চেক, পে-অর্ডার বা ডিডি পাশ না হয়, তাহলে পরবর্তী এক বছর ওই গ্রাহকের ওই ধরনের কোনো ইনস্ট্রুমেন্টের বিপরীতে শেয়ার কেনার সুযোগ দিতে পারবে না সংশ্লিষ্ট ব্রোকারহাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংক।

ব্রোকারেজ হাউজের জন্য চার শর্ত: এদিকে বিএসইসির নির্দেশনায় চার শর্ত ও দুটি করণীয়ের কথা বলা আছে। প্রথমত. বিনিয়োগকারীর জমা দেয়া চেক যদি ব্রোকারেজ হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংক সেদিন বা পরের কর্মদিবসে ব্যাংকে জমা না দেয়, তাহলে পরের এক বছরের জন্য আইপিওতে যোগ্য বিনিয়োগকারীর সুযোগ সুবিধা হারাবে তারা।

দ্বিতীয়ত. সেই চেক যদি বাউন্স করে, অর্থাৎ ব্যাংক হিসাবে যদি সমপরিমাণ টাকা পাওয়া না যায়, তখন ব্রোকারেজ বা মার্চেন্ট ব্যাংকের হিসাব থেকে সে টাকা দিতে হবে। সেটিও যদি না হয়, তাহলে সেই প্রতিষ্ঠান আইপিওতে এক বছরের জন্য সব সুবিধা হারাবে। তৃতীয়ত. যে গ্রাহকের চেক বাউন্স করবে, তিনি পরের এক বছর পুঁজিবাজারে আর লেনদেন করতে পারবেন না।

চতুর্থত. প্রতিটি স্টক ব্রোকারকে ডিসঅনার চেকের তালিকা মাস শেষ হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে বিএসইসিকে পাঠাতে হবে। ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের করণীয় হিসেবে যেগুলো উল্লেখ করা হয়েছে।

সেগুলো হলো: ১. গ্রাহককে অনলাইনে টানা স্থানান্তরে উৎসাহ দেবে প্রতিষ্ঠানগুলো এবং ২. এই শর্ত ও করণীয়গুলো বাস্তবায়ন করতে ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ এবং মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজগুলো দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।