শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) শেয়ার বেচাকেনা করার জন্য সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে নতুন ৫২টি ব্রোকারেজ হাউজ বা ট্রেককে (ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট) লাইসেন্স দিয়েছে। তবে দেড় মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত নতুন লাইসেন্স পাওয়া কোনো ব্রোকারেজ হাউজ বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করতে পারিনি।

বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে শিগগির বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে ডিএসইকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

লিখিত নির্দেশনায় বিএসইসি বলেছে, অবিলম্বে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করার জন্য ডিএসই ইতোমধ্যে ৫২টি ব্রোকারেজ হাউজ বা ট্রেককে লাইসেন্স ইস্যু করে হস্তান্তর করেছে। তবে এখন পর্যন্ত ট্রেক লাইসেন্স প্রাপ্ত কোনো নতুন ব্রোকারেজ হাউস তাদের বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু করেনি। চলমান বাজার পরিস্থিতিতে নতুন জারি করা ট্রেক লাইসেন্সধারীদের অবিলম্বে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করার জন্য ডিএসইকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হলো। এ চিঠি পাওয়ার সাত কার্যদিবসের মধ্যে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হলো।

চিঠিতে নতুন ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ওএমএস) স্থাপনে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানসহ সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক-ডিলার/স্টক-ব্রোকার/অনুমানকৃত) নিয়মমালা, ২০০০ অনুযায়ী নিবন্ধন সার্টিফিকেট গ্রহণ প্রক্রিয়ার কাজ সম্পন্ন করতে সহায়তা করতে বলা হয়েছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, নতুন ৫২টি ব্রোকারেজ হাউজের মধ্যে ১২-১৩টি প্রতিষ্ঠান স্টক-ডিলার ও স্টক-ব্রোকারের লাইসেন্স নেওয়ার জন্য ডিএসই’র কাছে আবেদন জমা দিয়েছে। এরমধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠান অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালুর প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছে। তবে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই সিস্টেম চালুর প্রস্তুতি এখনও সম্পন্ন করতে পারেনি।

বর্তমানে নতুন ট্রেকগুলোতে আইটি সিস্টেম ডেভেলপ করা বড় সংকট। কারণ ডিএসই থেকে ট্রেক লাইসেন্স গ্রহণের সময় ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে শর্ত দেওয়া হয়েছিল যে, নিজস্ব অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করতে হবে। একইসঙ্গে ব্যাক অফিস সিস্টেমও চালু করতে হবে। এসব সিস্টেম চালুর করতে কিছুটা সময় প্রয়োজন। তবে ট্রেক লাইসেন্স পাওয়ার এক বছরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজটি বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালু করার বিধান রয়েছে।

ডিএসই’র নতুন ৫২ ব্রোকারেজ হাউজ হলো: কবির সিকিউরিটিজ, মোনার্ক হোল্ডিংস, সোহেল সিকিউরিটিজ, আরএকে ক্যাপিটাল, যমুনা ব্যাংক সিকিউরিটিজ, স্নিগ্ধা ইক্যুইটিস, ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটিজ কোম্পানি, সাউথ এশিয়া সিকিউরিটিজ, ট্রাইস্টার সিকিউরিটিজ, ৩আই সিকিউরিটিজ, সোনালী সিকিউরিটিজ, কেডিএস শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, আল হারমাইন সিকিউরিটিজ, মির সিকিউরিটিজ, টিকে শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, এনআরবি ব্যাংক সিকিউরিটিজ, এসবিএসি ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট, আমায়া সিকিউরিটিজ, প্রুডেন্সিয়াল ক্যাপিটাল,

তাকাফুল ইসলামী সিকিউরিটিজ, বিএনবি সিকিউরিটিজ, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স সিকিউরিটিজ, মাহিদ সিকিউরিটিজ, বারাকা সিকিউরিটিজ, এএনসি সিকিউরিটিজ, এসএফআইএল সিকিউরিটিজ, তাসিয়া সিকিউরিটিজ, ডাইনেস্টি সিকিউরিটিজ, সেলেস্টিয়াল সিকিউরিটিজ, ট্রেড এক্স সিকিউরিটিজ, বি রিচ, ইম্পেরোর সিকিউরিটিজ, বি অ্যান্ড বিএসএস ট্রেডিং, এনওয়াই ট্রেডিং, কলম্বিয়া শেয়ার, এমকেএম সিকিউরিটিজ,

স্মার্ট শেয়ার, বিনিময় সিকিউরিটিজ, রিলিফ এক্সচেঞ্জ, আমার সিকিউরিটিজ, ব্যাঙ জি জিও টেক্সটাইল, মিনহার সিকিউরিটিজ, বিপ্লব হোল্ডিংস, অ্যাসোসিয়েটেড ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ, রহিমা ইক্যুইটি, অ্যাসুরেন্স সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, সিএএল সিকিউরিটিজ, এসবিআই সিকিউরিটিজ, উইংস ফিন, ফারইস্ট শেয়ারস অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, ট্রাস্ট রিজিওনাল ইকুইটি এবং ইন্নোভা সিকিউরিটিজ।