শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম: দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) শেয়ারহোল্ডার পরিচালক রকিবুর রহমানে প্রতিষ্ঠানসহ সাত ব্রোকারেজের কার্যক্রম তদন্ত করবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এবং সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) যৌথভাবে এই কার্যক্রম পরিচালনা করবে। তাদেরকে আগামী ২০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সূত্র মতে, সাতটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পাঁচটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্য এবং দুটি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসইসি) সদস্য। ডিএসইর সদস্যগুলো হলো সিনহা সিকিউরিটিজ, ডিএসইর শেয়ারহোল্ডার পরিচালক মো. রকিবুর রহমানের প্রতিষ্ঠান মিডওয়ে সিকিউরিটিজ, রয়েল ক্যাপিটাল,এএনএফ ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি এবং গ্লোব সিকিউরিটিজ লিমিটেড। সিএসইর সদস্য দুটি হলো- ভ্যানগার্ড শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজ এবং কবির সিকিউরিটিজ লিমিটেড।

বিএসইসির উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেছেন, এই সাতটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে অনেকগুলো আভিযোগ জমা পড়েছে। গ্রাহকদের অভিযোগের কারণেই প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে সাম্প্রতিক সময়ে দেশের পুঁজিবাজারে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কনসোলিডেটেড কাস্টমারস অ্যাকাউন্টের (সিসিএ) টাকা নয়-ছয় করেছে।

ফলে পুঁজিবাজাররে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য কঠোর অবস্থানে বিএসইসি। বিনিয়োগকারীদের সমন্বিত হিসাবের ৬৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১৫ জুন থেকে ডিএসইতে বানকো সিকিউরিটিজ লিমিটেডের লেনদেন কার্যক্রম বন্ধ। একই সঙ্গে ব্রোকার হাউজটির পরিচালক ও পরিবারের সদস্যরা যাতে বিদেশে যেতে না পারেন, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে ৬৫ কোটি ৩২ লাখ ৩৭ হাজার ৪৭৪ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। দুটি প্রতিষ্ঠান নিয়েই তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে দুদক। এর আগে শাহ মোহাম্মদ সগীর অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের বিরুদ্ধে ৪৮টি অভিযোগ জমা পড়ে।

ফলে এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমও বন্ধ করে দেয় বিএসইসি। প্রতিষ্ঠানটিকে বিক্রি করে গ্রাহকদের পাওয়া পরিশোধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায় করছে ডিএসই। প্রতিষ্ঠানটিকে দেশের অন্যতম শিল্পগ্রুপ সাদ মুসা কিনে নিয়েছে।