bidutশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩২৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, খাতের শেয়ারের প্রতি নজর বিনিয়োগকারীদের।  এ খাতের কোম্পানির প্রতি বিনিয়োগকারীদের ধীরে ধীরে ঝোঁক বাড়ছে। ফলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, খাতের শেয়ারে নতুন করে বিনিয়োগ বাড়িয়ে দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এ কারণে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাজারে এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো একদিকে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, অন্যদিকে তাদের অবদানও বাড়ছে। এর ফলে বিনিয়োগকারীরাও ঝুঁকছেন এ খাতের শেয়ারে।

ভালো লভ্যাংশের পাশাপাশি ভালো ব্যবসা হওয়ায় ৭৮টি কোম্পানির মধ্যে অর্ধশতাধিক কোম্পানির প্রতি বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকছেন বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, অন্য খাতের কোম্পানির শেয়ারের চেয়ে এ খাতের কোম্পানির শেয়ারগুলোতে ব্যবসা ভালো হওয়ায় ক্ষুদ্র ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও ঝুঁকছেন।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি বছরের মন্দার মাসে অর্থাৎ এপ্রিল মাসে ডিএসই’র লেনদেনের ৫২ দশমিক ৮৪ শতাংশ লেনদেন হয়েছে এ খাতের কোম্পানি থেকে। এর মধ্যে অধিকতর স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতা থাকায় ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিমা কোম্পানির শেয়ারে পচন ধরেছে।

বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা না থাকায় এসব কোম্পানির বেশিরভাগ শেয়ারের দাম অভিহিত মূল্যের নিচে চলে এসেছে। পুঁজিবাজারে মহাধসের আগে ও তার পরের কয়েক বছর এ খাতের শেয়ারের লেনদেনের পরিমাণ ক্রমাগতভাবে কমছে। ডিএসইর পাশাপাশি দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, প্রকৌশল এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতগুলোর লেনদেনের পরিমাণ একই অবস্থা বিরাজ করছে।

এদিকে আগের দুই সপ্তাহের মতো গত সপ্তাহেও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে  জ্বালানি-বিদ্যুৎ  খাত। আলোচিত সপ্তাহে এই খাতের লেনদেনের অংশ ছিল ২২ শতাংশ। গত সপ্তাহে এই খাতে প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৭০ কোটি ১৪ লাখ টাকার। বিশ্বস্ত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। এই খাতে ১৬ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। গত সপ্তাহে এই খাতে প্রতিদিন মোট ৫০ কোটি ৬৮ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ওষুধ-রসায়ন খাত ১৩ শতাংশ লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এই খাতে প্রতিদিন গড়ে ৪০ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

এছাড়া বস্ত্র খাতে ৯ শতাংশ, ব্যাংক খাতে ৭ শতাংশ, বিবিধ খাতে ৬ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে ৫ শতাংশ, আর্থিক ও খাদ্য-আনুসঙ্গিক খাতে ৪ শতাংশ, ভ্রমন-অবকাশ, আইটি ও সিরামিক খাতে  ২ শতাংশ করে লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে টেলিকমিউনিকেশন, ট্যানারি, ও বিমা খাতে ১ শতাংশ করে লেনদেন হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকমকে জানান, এ খাতগুলোতে বেশ কিছু ভালো সরকারি কোম্পানি তলিকাভুক্ত হওয়ায় ভালো মুনাফা পাওয়ার আশায় বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ দিনদিন বাড়ছে। তাই ধস পরবর্তী পুঁজিবাজারেও বছরের পর বছর ক্রমাগতভাবে পুঁজিবাজারে অবদান বাড়ছে।