acme lagoশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন শেষ হওয়া কোম্পানি একমি ল্যাবরেটরিজের ৭.৬১ গুণ আবেদন বেশি জমা পড়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র মতে, একমি ল্যাবরেটরিজের আইপিওতে ১২ লাখ ৭০ হাজার আবেদন পড়েছে। যা কোম্পানির প্রত্যাশার চেয়ে ৭.৬১ গুণ বেশি জামা পড়েছে।

তবে কোন ক্যাটাগরিতে কত গুণ আবেদন পড়েছে আগামী ১৫ মে লটারির দিন জানা যাবে। আগামী ১৫ মে সকাল ১০ টায় রাজধানীর ইন্ঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউটে এ লটারি অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে গত ১১ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আইপিও আবেদন গ্রহণ করে কোম্পানিটি। স্থানীয় ও প্রবাসী উভয় বিনিয়োগকারিদের জন্য এই সময়সীমা নির্ধারণ করা ছিলো।

এদিকে, গত ৩ এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারিরা নিলামে নির্ধারিত টাকা জমা দেন। এর আগে নিলামে মোট ১০ কোটি ১৬ লাখ ১৩ হাজার ৮০০ শেয়ারের দর বিভিন্ন হারে দর প্রস্তাব করে ১৯৩টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৮৫.২০ টাকা দরে নয় কোটি ৭৪ লাখ ৪২ হাজার শেয়ার কেনার জন্য দর প্রস্তাব করা হয়। এর মূল্য দাঁড়ায় ৮৩০ কোটি ২১ লাখ টাকা।

বিধি অনুসারে, নিলামে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান শেয়ারের নির্দেশক মূল্য (Indicative Price) থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ বেশি বা ২০ শতাংশ কম পর্যন্ত দর প্রস্তাব করতে পারে। একমি ল্যাবরেটরিজের শেয়ারের নির্দেশক মূল্য ৭১ টাকা। এ হিসেবে এর সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য দর দাঁড়ায় ৮৫.২০ টাকা। আর সর্বনিম্ন দর হয় ৫৬.৮০ টাকা।

নিলাম শেষে দেখা যায়, সর্বনিম্ন সীমা ৫৬.৮০ টাকা দরে একমির শেয়ার কেনার জন্য কোনো প্রতিষ্ঠান প্রস্তাব করেনি। তবে এর কাছাকাছি দাম ৫৭ টাকা দরে দুই লাখ শেয়ার কেনার জন্য একটি প্রতিষ্ঠান প্রস্তাব করেছে। এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৫৬৭তম সভায় একমি ল্যাবরেটরিজকে আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়। কোম্পানিটির ৫ কোটি সাধারণ শেয়ার বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে ৫০ শতাংশ বা আড়াই কোটি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারিদের জন্য ১০ শতাংশ বা ৫০ লাখ শেয়ার মিউচ্যুয়াল ফান্ডের জন্য। যার প্রতিটি কাট-অফ ৮৫ টাকা ২০ পয়সায়, বাকি ৪০ শতাংশ বা ২ কোটি শেয়ার সাধারণ বিনিযোগকারী, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী ও এনআরবিদের জন্য। এই শেয়ারের কাট-অফ মুল্য ১০ শতাংশ কমে বা ৭৭ টাকায় সাধারণ বিনিয়োগকারী, ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারী ও এনআরবিদের জন্য প্রস্তাব করা হয়।

আইপিও আবেদনের মাধ্যমে কোম্পানিটি ৪০৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা উত্তোলন করে এই টাকা দিয়ে ৩টি নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং প্রাথমিক গণ প্রস্তাবে খরচ করবে। কোম্পানিটির বিগত ৫ বছরের নিরীক্ষিত বিবরণী অনুযায়ী, শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ০৭ পয়সা। আর ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছর অনুযায়ী ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ৭০ পয়সা।

কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য ৭০ টাকা ৩৭ পয়সা। কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড আর রেজিষ্টার টু দি ইস্যুর দায়িত্বে রয়েছে প্রাইম ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।