angulশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ভারবতবর্ষে একসময় হিন্দু নারীদের স্বামী মারা গেলে তার মৃতদেহের সঙ্গে চিতায় জীবনাহুতি দেওয়ার নিয়ম ছিল। প্রায় দুশ বছর আগে রাজা রামমোহন রায়ের উদ্যোগে আর ব্রিটিশদের চেষ্টায় সেই অমানবিক প্রথাটি বন্ধ হয়েছিল।

তবে এশিয়ার আরেক দেশ ইন্দোনেশিয়ায় স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রীর আঙুল কেটে দেওয়ার বিধান এখনো টিকে রয়েছে। দেশটির পাপুয়া নিউ গিনির দানি সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে এ প্রথা প্রচলিত রয়েছে।

প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী, যখনই পরিবারের কর্তা মারা যান, শোক পালনের জন্য স্ত্রীর দু’হাতের বেশ কয়েকটি আঙুল কেটে দেওয়া হয়। ধারণা করা হয়, এতে মৃতের আত্মা শান্তি পায়! আঙুল কাটার আগে বিধবা স্ত্রীর হাত শক্ত করে বেঁধে দেওয়া হয় যাতে হাতে রক্তের প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়।

তার পর কুড়াল দিয়ে আঙুল কেটে দেওয়া হয়। যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে এই প্রথা সহ্য করতে হয় সেখানকার সদ্য বিধবা নারীদের। দীর্ঘ দিন ধরে নিষ্ঠুর এই প্রথা চলে আসছে দানি সম্প্রদায়ের মধ্যে।

ওই দ্বীপে গেলেই আঙুলহীন মহিলাদের দেখা মিলবে। ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার পর সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার সরকার এই প্রথার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।