শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের কিছুটা উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন বিমা খাতের পাশাপাশি প্রকৌশল ও বস্ত্র খাতের বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। অর্থাৎ পুঁজিবাজারে উত্থানের পেছনে অবদান রেখেছে এই তিন খাত। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ৬ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট। তবে সূচকের এ উত্থানের নেপখ্যে রয়েছে সাত কোম্পানি। এ কোম্পানিগুলো পতন ঠেকিয়ে আজ বাজারকে পজেটিভ রাখার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ অবদান ছিল।

সাত কোম্পানির অবদানে আজ ডিএসইর সূচকের উত্থান হয়েছে ৯ পয়েন্ট। এই সাত কোম্পানির মধ্যে র‌য়ে‌ছে: লাফার্জহোলসিম, ডেল্টা লাইফ, ফুওয়াং ফুড, আলহ্বাজ টেক্সটাইল, এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, সিঙ্গার বিডি এবং প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ৬ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণও। এর ফলে চার কার্যদিবস পর পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান হলো।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বুধবার বিমা খাতের ৫৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৩টি কোম্পানির, কমেছে ৭টি, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। এদিন পুঁজিবাজারে যে পরিমাণ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে এর মধ্যে ৫৪ শতাংশই রয়েছে বীমা খাতের। আর বীমা খাতের কোম্পানিগুলোর উপর ভর করেই শেষ পর্যন্ত উত্থান ধারা অব্যাহত থাকে পুঁজিবাজারে।

ডিএসইর তথ্য মতে, আজ বাজারে ৩৪৫টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১৪ কোটি ৫৯ লাখ ১৫ হাজার ১৬৪টি শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৬৭৭ কোটি ১৫ লাখ ১৭ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৩৮ কোটি ৯২ লাখ ২১ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে। এদিন দাম বেড়েছে ৮০টি কোম্পানির শেয়ারের, বিপরীতে কমেছে ৮৫টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮০টির।

বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দাম কমার দিনেও ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৬ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৩৯ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরীয়াহ সূচক দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৭৩ পয়েন্টে। তবে ডিএস-৩০ সূচক দশমিক ৫৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৫৯ পয়েন্টে।

এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬.৯৮ পয়েন্ট বেড়ে ছয় হাজার ৩৩৯.৫১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এছাড়া শরিয়াহ সূচক ০.৭৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৭৩.৯৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ০.৫৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ১৫৯.৮৬ পয়েন্টে। ডিএসইতে আজ ৩৪৫টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৮০টির বা ২৩.১৭ শতাংশের।

এছাড়া দর কমেছে ৮৫টির বা ২৪.৬৩ শতাংশের এবং শেয়ার দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮০টির বা ৫২.১৭ শতাংশের। আজ ডিএসইতে ৬৭৭ কোটি ১৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ১৩৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫৩৮ কোটি ৯২ লাখ টাকার।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬.৭৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৭১৭.০৭ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলো মধ্যে সিএসসিএক্স ৪.১০ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ৩.৮২ পয়েন্ট ও সিএসআই ০.৯৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১ হাজার ১৮৮.৫৫ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩৪৮.৬৩ পয়েন্টে ও ১ হাজার ১৭৪.৭৯ পয়েন্টে। তবে সিএসই-৫০ সূচক ১.১৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩১২.৫৭ পয়েন্টে।

সিএসইতে আজ ১৮০টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এদের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৬৫টির, কমেছে ৫১টির এবং ৬৪টি কোম্পানির শেয়ার দর অপরিবর্তিত রয়েছে। আজ সিএসইতে মোট ৮ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।