শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বছরের শুরু থেকে গেল ১৯ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচকে প্রায় ৯8 পয়েন্ট যোগ হয়েছে। বাজার সংশ্লিষ্ট ও বিশ্লেষকরা বিষয়টি ইতিবাচক দেখছেন। তবে পুঁজিবাজারের সার্বিক কার্যক্রমে এখনো গতি আসেনি বলে মনে করছেন তারা। ফলে সপ্তাহজুড়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের বাড়লেও কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন বেড়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা। সপ্তাহটিতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে। আর সপ্তাহটিতে বিনিয়োগকারীরা ১০ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৫৬ হাজার ৮৪১ কোটি ৩৩ লাখ টাকায়। যা সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬৭ হাজার ২৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন ১০ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা টাকা বেড়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে ৩ হাজার ৫০ কোটি ১৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ আগের সপ্তাহে হয়েছিল ৩ হাজার ৮৫০ কোটি ৫২ লাখ টাকার টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ৮০০ কোটি কমেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৯৬ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৭৪ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ২৩০ পয়েন্টে। বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৮৭টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৩টির , কমেছে ১১৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০৫টির শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৩১ লাখ টাকার। যার পরিমাণ আগের সপ্তাহে ছিল ১০৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকার। অর্থাৎ লেনদেন কমেছে ৯৮ কোটি ২৪ লাখ টাকার। সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৮৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৬৫ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ২৭৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৬১টির দর বেড়েছে, ৬৩টির দর কমেছে এবং ১৩৪টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।