শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: গত সপ্তাহজুড়ে দেশের পুঁজিবাজারে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমলেও বেড়েছে মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের গতি। তবে বাজার মূলধন বড়ে অঙ্কে কমে গেছে। এক সপ্তাহে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা কমেছে।

গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৫৪ হাজার ৬৯২ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৭ লাখ ৬০ হাজার ৬০৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা। এদিকে সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া মাত্র ৬২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৮টির। আর ২১০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এরপরও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২১ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৩৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১২ দশমিক ৫ পয়েন্ট বা দশমিক ২১ শতাংশ। বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহে বেড়েছে ৫ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট বা দশমিক ২৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।

প্রধান মূল্যসূচক ও ডিএসই-৩০ মূল্যসূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহে বেড়েছে ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক। গত সপ্তাহে এই সূচকটি বেড়েছে ৪ দশমিক ৩০ পয়েন্ট বা দশমিক ৩২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৫ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৪১ শতাংশ।

সবকটি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪২৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ২২৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ১৯৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা বা ৮৭ দশমিক ২৪ শতাংশ।

আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১২১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ১ হাজার ১৩২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ৯৮৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকা বা ৮৭ দশমিক ২৪ শতাংশ।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩৫ কোটি ৩০ লাখ ৪১ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের ৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বসুন্ধরা পেপারের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩১ কোটি ২ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। ৯৭ কোটি ৭৩ লাখ ৬৯ হাজার টাকা লেনাদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে জেনেক্স ইনফোসিস।

এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে-ওরিয়ন ফার্মা, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন, জেএমআই হসপিটাল অ্যান্ড রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, ওরিয়ন ইনফিউশন, এডিএন টেলিকম এবং প্রগতী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।