শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: টানা দরপতনের বৃত্তে আটকে গেছে দেশের পুঁজিবাজার। সেই সঙ্গে লেনদেন খরা প্রকট হয়ে উঠছে। ফলে পুঁজিবাজারের ভবিষ্যত নিয়ে দু:চিন্তায় পড়ছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে দিন দিন পুঁজি নিয়ে শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। আজ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের দরপতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন পুঁজিবাজারের সব সূচক কমেছে। সূচকের সাথে টাকার পরিমাণে লেনদেনও কমেছে পুঁজিবাজারে।

এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন কমে দুইশত কোটি টাকার নিচে নেমেছে। এর মাধ্যমে আরো তলানিতে নেমেছে লেনদেন। আগের কার্যদিবস ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২২৭ কোটি টাকার। অন্যদিকে ১৬৯টি কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য বা ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পরও অংশগ্রহণ বাড়েনি বিনিয়োগকারীদের। রোববার বড়দিনের ছুটির পর সোমবার প্রথম কর্মদিবসে সূচক পতনের সঙ্গে লেনদেন নামল ২০০ কোটির নিচে। সেটি ছিল ২০২০ সালের ১৬ জুলাইয়ের পর সর্বনিম্ন লেনদেন।

তলানিতে নামলেও গত দুই বছরে লেনদেন ২০০ কোটির নিচে নামেনি, কিন্তু সোমবার হাতবদল হয় ১৯৮ কোটি ৮০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা, যা চলতি বছরের তো বটেই, গত ২ বছর ৫ মাসে সর্বনিম্ন। এর চেয়ে কম লেনদেন হয়েছিল ২০২০ সালের ৭ জুলাই। ওই দিন হাতবদল হয়েছিল ১৩৮ কোটি ৫৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।

জানা গেছে, আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১২.৫১ পয়েন্ট বা ০.২০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ১৮৯.৬৯ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৩.৫১ পয়েন্ট বা ০.২৫ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩.৫০ পয়েন্ট বা ০.১৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৫৪.১২ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ১৯১.০০ পয়েন্টে।

ডিএসইতে আজ ১৯৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসইতে আজকের লেনদেন দুই বছর ৫ মাস ১৯ দিন বা ৬০২ কার্যদিবসের মধ্যে সবচেয়ে কম। এর আগে ২০২০ সালের ৭ জুলাই আজকের থেকে কম লেনদেন হয়েছিল। ওই দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১৩৯ কোটি টাকার।

ডিএসইতে আজ ৩২৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ২৫টির বা ৭.৬০ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ১৩৭টির বা ৪১.৬৪ শতাংশের এবং ১৬৭টির বা ৫০.৭৬ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৩.৬৪ পয়েন্ট বা ০.১২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩০৩.৮৮ পয়েন্টে। সিএসইতে আজ ১৩৭টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৮টির দর বেড়েছে, কমেছে ৪১টির আর ৭৮টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ২৪ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।