শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম বলেন, জুয়াড়িদের ধরে শাস্তি দিতে ছয় মাস থেকে এক বছর সময় লাগে। আমরা তখন ধরতে পারি, যখন স্টক এক্সচেঞ্জ তদন্ত রিপোর্ট দ্রুত দেয়। তারপর নিয়ম অনুসারে তথ্য প্রমাণ যাচাই-বাছাই করে শাস্তি দিতে ছয় মাস থেকে এক বছর সময় লেগে যায়। ততক্ষণে বিনিয়োগকারী ও বাজারের যা ক্ষতি করার তা করে ফেলে।

শনিবার রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে ‘বাংলাদেশের পুঁজিবাজার : বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তি‌নি এ কথা বলেন।

ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) যৌথভাবে এ বৈঠ‌কের আ‌য়োজন ক‌রে। গণমাধ্যমের উদ্দেশে তিনি বলেন, যখনি আপনারা কারসাজির কোনো তথ্য পান, তখন দ্রুত লিখে দেবেন। বিনিয়োগকারীদের সচেতন করবেন।

তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের যেকোনো বিষয়ে অর্থমন্ত্রণালয়, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী সবসময় সচেতন। ওনাকে (প্রধানমন্ত্রী) পুঁজিবাজারের কোনো বিষয় নিয়ে এসএমএস করলে সঙ্গে সঙ্গে সাড়া দেন। সুতরাং এরকম একজন লিডার থাকার পর মার্কেট নিয়ে চিন্তা করার কোনো কিছু নেই।

নতুন করে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে আমরা গত ২ বছর ৩৬টি কোম্পানির আইপিও দিয়েছি। এই সময়ে ৩ হাজারের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ‍্যাপক আবু আহমেদ বলেন, বহুজাতিক প্র‌তিষ্ঠান ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কত টাকা ট্যাক্স দেয় এটা সবাই জানে। কারণ তারা পুঁজিবাজারে তা‌লিকাভুক্ত। তাদের আ‌র্থিক প্র‌তিবেদন প্রকাশ ক‌রতে হয়। কিন্তু ইউনিলিভার ও নেসলে বাংলাদেশে দাপটের সঙ্গে ব্যবসা করে যাচ্ছে। তারা কত টাকা ট্যাক্স দেয় তা কেউ জানে না। কারণ তারা তা‌লিকাভুক্ত নয়। ইউনিলিভারের সাবান লাক্স, নেসলের নুডলুস কিন‌ছি, তারা ব্যবসা করে নিয়ে যাচ্ছে কিন্তু আমাদের মা‌লিকানা দিচ্ছে না। তারা কেন তা‌লিকাভুক্ত হচ্ছে না।

তি‌নি ব‌লেন, আমরা যখন বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের দিকে দে‌খি তখন টপ টেনে (শীর্ষ ১০) ইউনিলিভার ও নেসলে থা‌কে। তাহলে আমাদের এ‌খানে নেই কেন? ১৭ কো‌টি মানুষকে কি তারা মূর্খ মনে করে?

অনুষ্ঠানে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিলের চেয়ারম্যান ও সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী, ড. এম খায়রুল হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক (ইডি) ড. মো. এজাজুল ইসলামসহ অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, আইসিএবি, আইসিএমএবি, আইসিএসবির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।