শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচক ও লেনদেনের উত্থানে শেষ হয়েছে। তবে ব্যাংক-বিমা এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতের শেয়ারের একটেটিয়া দাপট ছিল। বেশ কিছুদিন ধরে ওষুধ ও রসায়ন খাতের শেয়ারে আগ্রহ বেড়েছে বিনিয়োগকারীদের। ফলে এসব খাতের বিনিয়োগকারীরা ফুরফুর মেজাজে রয়েছেন। তেমনি সূচকের টানা উত্থানে আস্থা বেড়েছে বিনিয়োগকারীদের।

আজ দিনভর সূচক ওঠানামার পর এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে ২৪ পয়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০৭ পয়েন্ট। এর ফলে টানা পাঁচ কার্যদিবস উত্থান হলেঅ উভয় পুঁজিবাজার।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এদিন ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত ৩৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ২৫টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে আট কোম্পানির শেয়ারের দাম। অন্যদিকে বিমা খাতের ৫৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৬টির, কমেছে পাঁচটির আর অপরিবর্তিত রয়েছে তিন কোম্পানির শেয়ারের দাম।

আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৪.৩৮ পয়েন্ট বা ০.৩৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৪৫৭.২১ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২.৩৮ পয়ন্ট বা ০.১৭ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩.৭৩ পয়েন্ট বা ০.১৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৯৮.৬৭ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ২৮৩.০৫ পয়েন্টে।

ডিএসইতে আজ টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকার। যা আগের কার্যদিবস থেকে ২৩৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৭৬৯ কোটি ৩০ লাখ টাকার। ডিএসইতে আজ ৩৮০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৭৯টির বা ৪৭.১১ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ১৩৫টির বা ৩৫.৫৩ শতাংশের এবং ৬৬টির বা ১৭.৩৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ১০৭.৬৯ পয়েন্ট বা ০.৫৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ০০৫.৯৩ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ৩০৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৫৭টির, কমেছে ৯৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫২টির দর। আজ সিএসইতে ৭০ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

পুঁজিবাজারের লেনদেনের বিষয়ে এম সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী নুরুল আজম বলেন, পুঁজিবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি ইতিবাচক। বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ায় প্রতিনিয়ত লেনদেন বাড়ছে। এছাড়া সূচকের যেন একটানা উত্থান হচ্ছে না এটা ভাল দিক। বাজারের আস্তে আস্তে তার নিজস্ব শক্তিতে হাঁটছে।

এছাড়া অর্থনীতি নিয়ে যত আশঙ্কা ছিল, তার সবগুলোই সুন্দরভাবে মোকাবিলা করে চলেছে বাংলাদেশ। এটি বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। এর সঙ্গে সাহস যুগিয়েছে ফ্লোর প্রাইস। কারণ, এর নিচে শেয়ারদর নামতে পারবে না বলে মনোবল চাঙা হয়েছে।