শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারকে গতিশীল করতে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের সাথে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ সিকিউকিরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। পুঁজিবাজারে তারল্য বৃদ্ধি ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা তৈরি করতে বিএমবিএ’র পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানসহ চার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

মঙ্গলবার বিকেলে বিএসইসি’র কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমদ এর সভাপতিত্বে বিএমবিএ’র প্রতিনিধিবৃন্দের সাথে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম এবং এমএসআই বিভাগের ঊর্ধ্বতন কমকর্তাসহ বিএমবিএ’র সভাপতি সায়েদুর রাহমান ও অন্যান্য প্রতিনিধিবৃন্দ। সভায় বর্তমান বাজার পরিস্থিতি ও বাজার মধ্যস্থতাকারীদের ভূমিকার উপর আলোচনা করা হয়। এসময় বিএমবিএ’র পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানসহ নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়:

বিগত সময়ে শেয়ার বিক্রির ফলে অনেক বিনিয়োগকারীর হিসাব এ অলস তহবিল পড়ে আছে, যারা বর্তমানে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। এসব বিনিয়োগকারীদের উদ্বুদ্ধকরনের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে পুনরায় বিনিয়োগের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা। যা বাজারে চাহিদা ও তারল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে গতিশীল করতে সহায়ক হবে।

মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর ক্লায়েন্ট সাইজ অনেক বড়। তাদের মধ্যে অনেক ইন-অ্যাকটিভ অ্যাকউন্ট আছে যাদের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগসহ উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে নতুন বিনিয়োগের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে মার্চেন্ট ব্যাংক ও পোর্টফোলিও ম্যানেজারের কর্মকর্তাগণ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। যা বাজারে চাহিদা ও তারল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে গতিশীল করতে সহায়ক হবে।

বিগত সময়ে কিছু সংখ্যক মার্চেন্ট ব্যাংক ও পোর্টফোলিও ম্যানেজার নিজস্ব পোর্টফোলিও হিসাব থেকে কিছুটা বিক্রয় চাপ ছিল। ফলে তাদের হিসাবে বর্তমানে কিছুটা বিনিয়োগ যোগ্য তহবিল রয়েছে তা থেকে প্রত্যেক মার্চেন্ট ব্যাংকারদের নিজস্ব পোর্টফোলিওতে অন্ততপক্ষে ১০% নতুন বিনিয়োগ পুঁজিবাজারে আনতে হবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। যা বাজারে চাহিদা ও তারল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে গতিশীল করতে সহায়ক হবে।

দেশের পুঁজিবাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীর তুলনায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর সংখ্যা অনেক কম। এ সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা আনয়নে মার্চেন্ট ব্যাংক ও পোর্টফোলিও ম্যানেজারগণ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণকে দায়িত্ব প্রদান করতে হবে এবং বিনিয়োগকারীকে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করে বাজারে আনতে হবে, যা বাজারের বিনিয়োগ বাড়াতে এবং একইসাথে বাজারের স্থিতিশীলতা আনয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।