শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: এসএমই প্লাটফর্মের মতো আলাদা বোর্ড গঠন করে দেশের সমবায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুঁজিবাজারে আনার চেষ্টা করছে সমবায় অধিদপ্তর। ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যানের সঙ্গে সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ বিশ্বাস আলোচনা করেছেন। সম্প্রতি ডিএসইকে এ সংক্রান্ত চিঠিও দিয়েছে অধিদপ্তর। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে পুঁজিজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে। এ লক্ষ্যে ওই মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়ার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।

সূত্র মতে, স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলোর জন্য গঠিত এসএমই বোর্ডের মতো পুঁজিবাজারে সমবায় সমিতিগুলোর জন্য ‘কো-অপারেটিভ বোর্ড’ চালু করার সুপারিশ করা হবে। এই বোর্ড চালু করা সম্ভব হলে নিবন্ধিত সক্ষম সমবায় সমিতিগুলো পুঁজিবাজারে এসে পুঁজি সংগ্রহের সুযোগ পাবে।

সমবায় অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৫টি সমবায় সমিতির কার্যকরী মূলধন ১৫ হাজার ২৯৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে প্রাথমিক সমবায় সমিতিগুলোর কার্যকরী মূলধন ১২ হাজার ৮৪০ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতিগুলোর কর্যকরী মূলধন এক হাজার ৫৩৫ কোটি টাকা। আর জাতীয় সমবায় সমিতিগুলোর কার্যকরী মূলধন ৯১৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

পুঁজিবাজারে সমবায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে তালিকাভুক্ত করতে সমবায় অধিদপ্তরের যুক্তি হচ্ছে, ব্যক্তি এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানা প্রতিষ্ঠান স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হলেও সমবায় মালিকানার কোনো প্রতিষ্ঠান ডিএসই এবং সিএসইতে তালিকাভুক্ত হয়নি।

দীর্ঘ মেয়াদি অর্থায়নের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সমবায় প্রতিষ্ঠানগুলো পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করে তাদের কো-অপারেটিভ বিজনেসকে প্রসারিত করেছে। দেশের সমবায় সমিতিগুলো পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের সুযোগ পেলে উৎপাদন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারবে।