শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজার থেকে প্রাথমিক গ্রণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করা জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের লেনদেনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের উভয় শেয়ারবাজারে কোম্পানির শেয়ার লেনেদেন আগামী ৩১ মার্চ (বৃহস্পতিবার) থেকে শুরু হবে।

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানির শেয়ার ‘এন’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন শুরু করবে। ডিএসই ও সিএসইতে ট্রেডিং কোড হবে ‘JHRML’।

আজ মঙ্গলবার সিডিবিএলের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে কোম্পানির আইপিওর বরাদ্দপ্রাপ্ত শেয়ার জমা দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ২০ মার্চ প্রো-রাটার ভিত্তিতে আবেদনকারীদের মধ্যে শেয়ার বরাদ্দ দেওয়া হয়। এতে দেশি বিনিয়োগকারীরা প্রতি ১০ হাজার টাকার বিপরীতে ৫১টি করে শেয়ার বরাদ্দ পেয়েছেন। আর প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা পেয়েছেন ৫৮টি করে।

কোম্পানির আইপিওতে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হয়। আর গত বছরের ১৬ নভেম্বর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ৭৯৯তম নিয়মিত কমিশন সভায় জেএমআই হসপিটালের বিডিংয়ের অনুমোদন দেয়।

জেএমআই হসপিটালের বিডিংয়ে (নিলামে) কাট-অব প্রাইস ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কাট-অফ প্রাইস থেকে ২০ শতাংশ ডিসকাউন্টে অর্থাৎ আইপিওতে কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ টাকা।

ওই সময়ে কোম্পানিতে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দকৃত ১৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকার বিপরীতে ১৩৯ কোটি ৭৯ লাখ ২১ হাজার ৪০০ টাকার দর প্রস্তাব করা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রতিটি শেয়ারে ২৫ টাকা করে ১৩৭ কোটি ৬৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকার দর প্রস্তাব জমা পড়ে। এরই ধরাবাহিকতায় কোম্পানির কাট-অব প্রাইস ২৫ টাকা নির্ধারিত হয়।

জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। ওই টাকা দিয়ে জমি ক্রয়, ভবন তৈরি, মেশিনারিজ ক্রয়, ঋণ পরিশোধ ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করবে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।

জেএমআই হসপিটালের ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া নিট অ্যাসেট ভ্যালু (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৭.৭৮ টাকা এবং পুনর্মূল্যায়নসহ নিট অ্যাসেট ভ্যালু (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৯.৯৯ টাকায়। বিগত পাঁচ বছরের ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২.৪২ টাকা। কোম্পানির আাইপিওতে ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে জনতা ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট।