শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৬১টি কোম্পানির মধ্যে ৪২টি কোম্পানির সম্মিলিত শেয়ার ৩০ শতাংশ নেই। কোম্পানিগুলোকে সম্মিলিত শেয়ার ৩০ শতাংশ ধারণ করার কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। শেয়ার ধারণের জন্য কোম্পানিগুলোকে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে বিএসইসি।

এই নির্দেশনা দেয়ার আগে ৪২টি কোম্পানির প্রায় সবগুলোই ফ্লোর প্রাইসে ক্রেতাশুন্য ছিল। নির্দেশনাটি জারির পরেরদিন থেকেই কোম্পানিগুলোর শেয়ার দরে উল্লম্ফন দেখা দেয়। তিন সপ্তাহের ব্যবধানের কোম্পানিগুলোর মধ্যে অন্তত ২০টি কোম্পানির শেয়ার দর দ্বিগুণের কাছাকাছি হয়ে যায়। তবে গেল সপ্তাহে দর উল্লম্ফনের কোম্পানিগুলোর প্রায় সবগুলোরই প্রাইস কারেকশন হয়। এতে দর দ্বিগুণের কাছাকাছি থাকা কোম্পানির সংখ্যাও কমে যায়।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, মূলত শেয়ার ধারণের নির্দেশনাকে কেন্দ্র করেই কোম্পানিগুলোর শেয়ার দরে উল্লম্ফন দেখা দেয়। কোম্পানিরগুলোর মধ্যে বেশি শেয়ার কিনতে হবে এমন কোম্পানি যেমন আছে, নামমাত্র শেয়ার কিনতে হবে-এমন কোম্পানিও আছে। কিন্তু শেয়ার দর বেড়েছে সমানতালে। এদিকে, শেয়ার বেশি কিনতে হবে এবং পিই রেশিও কম রয়েছে, এমন কয়েকটি শেয়ার দরে কোন ছোঁয়াই লাগেনি দেখা যায়। অন্যদিকে, কোম্পানিগুলোর মধ্য মার্জিন শেয়ার যেমন রয়েছে, নন-মার্জিন এবং জেড গ্রুপের শেয়ারও রয়েছে। কিন্তু দর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে মার্জিন ও নন-মার্জিন শেয়ারের তেমন একটা তারতম্য দেখা যায় না।

মার্জিন শেয়ারের পজিশন: ৪২টি কোম্পানির মধ্যে মার্জিনেবল কোম্পানি রয়েছে ১৫টি। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী কোম্পনিগুলোর মধ্যে সম্মিলিত শেয়ার রয়েছে ফুওয়াং ফুডের ৫.৩৩ শতাংশ, অগ্নি সিষ্টেমের ৯.৩৯ শতাংশ, সুহ্নদ ইন্ডাষ্ট্রিজের ১২.০১ শতাংশ, একটিভ ফাইনের ১২.০৪ শতাংশ, বেক্সিমকো ফার্মার ১৩.১৯ শতাংশ, বারাকা পাওয়ারের ১৮.০১ শতাংশ, বিজিআইসির ১৯.৯১ শতাংশ, বেক্সিমকো লিমিটেডের ২০.১৫ শতাংশ, মেঘনা লাইফের ২৪.৭৩ শতাংশ, নর্দার্ন জুটের ২১.৮৭ শতাংশ, ফার্মা এইডের ২৪.২২ শতাংশ, সাউথইস্ট ব্যাংকের ২৫.১৩ শতাংশ, এপেক্স ফুটওয়ারের ২৫.৪৮ শতাংশ, অলিম্পিক ইন্ডাষ্ট্রিজের ২৭.৭৭ শতাংশ, কন্টিনেন্টাল ইন্সুরেন্সের ২৭.৮৫% শতাংশ, সিটি ব্যাংকের ২৭.৯২ শতাংশ এবং বে-লিজিংয়ের ২৯.৬৪ শেয়ার।

মার্জিন শেয়ারের দর বেড়েছে : সর্বশেষ দর অনুযায়ী বেক্সিমকো শেয়ারের দর বেড়েছে ১০১.৫৪ শতাংশ, পিপলস ইন্সুরেন্সের ১০১.৩২ শতাংশ, বেক্সিমকো ফার্মার ৮৪.০১%, বারাকা পাওয়ারের ৬৪.৬৫ শতাংশ, ফুওয়াং ফুডের ৫১.৭২ শতাংশ, ফাইন ফুডের ৪২.৪৮ শতাংশ, মেঘনা লাইফের ৪৪.৮৪ শতাংশ, বিজিআইসির ৪০.১৩ শতাংশ, সিটি ব্যাংকের ৩৮.৮৮ শতাংশ, কন্টিনেন্টাল ইন্সুরেন্সের ৩৭.৮৬ শতাংশ, ফার্মা এ্ইডের ২৭.৩৪ শতাংশ, সাউথইস্ট ব্যাংকের ২৩.০৮ শতাংশ, অলিম্পিক ইন্ডাষ্ট্রিজের ২১.৩০ এবং সুহ্নদ ইন্ডাষ্ট্রিজের ৫.৭৩ শতাংশ। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সুহ্নদ ইন্ডাষ্ট্রিজ কম পিইর শেয়ার। শেয়ারও কিনতে হবে বেশি। কিন্তু দর বৃদ্ধিতে কোন প্রভাব দেখা যায়নি।

মার্জিন শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস : একটিভ ফাইনের ফ্লোর প্রাইস ১২.৩০ টাকা, অগ্নি সিষ্টেমের ১৩.৪০ টাকা, বেক্সিমকোর ১৩ টাকা, বেক্সিমকো ফার্মার ৬০.৭০ টাকা, বারাকা পাওয়ারের ১৯.৮০ টাকা, বিজিআইসির ২৩.৯০ টাকা, সিটি ব্যাংকের ১৬.২০ টাকা, কন্টিনেন্টাল ইন্সরেন্সের ১৮.৩০ টাকা, নর্দার্ন জুটের ৩২৪.৯০ টাকা, ফুওয়াং ফুডের ১১.৬০ টাকা, ফাইন ফুডের ৪১.৯০ টাকা, অলিম্পিক ইন্ডাষ্টিজের ১৫০.২০ টাকা, ফার্মা এইডের ৩৭১.৮০ টাকা এবং সুহ্নদ ইন্ডাষ্ট্রিজের ২১.৭০ টাকা।

নন-মার্জিন শেয়ারের পজিশন: ৪২টি কোম্পানির মধ্যে নন-মার্জিন কোম্পানি রয়েছে ২৪টি। এর মধ্যে এ এবং বি গ্রুপের কোম্পানি ১১টি এবং জেড গ্রুপের ১৬টি। এ এবং বি গ্রুপের কোম্পানিগুলোর মধ্যে সম্মিলিত শেয়ার রয়েছে- ফাইন ফুড ৫.০৯ শতাংশ, ফাস ফাইন্যান্স ১৩.২০ শতাংশ, আফতাব অটোমোবাইল ২৮.৪২ শতাংশ, এপেক্স ফুটওয়ার ২৫.৪৯ শতাংশ, বে-লিজিং ২৯.৬৪ শতাংশ, সেন্ট্রাল ফার্মা ২৫.৮৯ শতাংশ, আইএসএন ২১.৬২ শতাংশ, কেএন্ডকিউ ২৭.৩২ শতাংশ, মেট্রো স্পিনিং ২৬.২০ শতাংশ, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ২৮.৫০ শতাংশ এবং ম্যাকসন্স স্পিনিং ২৯.৪৬ শতাংশ।

জেড শেয়ারের পজিশন : ইনটেকের শেয়ার রয়েছে ৩.৯৭ শতাংশ, ফ্যামিলি টেক্সের ৪.০২ শতাংশ, ফুওয়াং সিরামিকের ৫.৩৩ শতাংশ, এ্যাপোলে ইস্পাতের ২০.৪০ শতাংশ, বিডি থাইয়ের ২৮.৩৮ শতাংশ, সিএন্ডএ টেক্সটাইলের ২২.১৪ শতাংশ, ডেল্টা স্পিনার্মের ১৮ শতাংশ, ফ্যামিলি টেক্সের ৪.০২ শতাংশ, ফুওয়াং সিরামিকের ৫.৩৩ শতাংশ, জেনারেশন নেক্সটের ১৩.৮২ শতাংশ, ইমাম বাটনের ১৯.৩৩ শতাংশ, ইনটেকের ৩.৯৭ শতাংশ, মিথুন নিটিংয়ের ১৭.২০ শতাংশ, অলিম্পিক এক্সেসরিজের ২০.৬৮ শতাংশ, সালভো ক্যামিকেলের ২২.১৪ শতাংশ এবং ইউনাইটেড এয়ারের ৪.১৬ শতাংশ।

নন-মার্জিন শেয়ারের দর বেড়েছে : এ্যাপেলো ইস্পাতের দর বেড়েছে ১২১.৪৩ শতাংশ, জেনারেশন নেক্সটের ৯০.৯০ শতাংশ, মিথুন নিটিংয়ের ৮১.৮২ শতাংশ, ডেল্টা স্পিনার্মের ৭৩.৭৪ শতাংশ, ফ্যামিলি টেক্সের ৭২.২২ শতাংশ, আলহাজ্ব টেক্সটাইলের ৫৭.৩৬ শতাংশ, ইমাম বাটনের ৫২.৮৮ শতাংশ, ফাস ফাইন্যান্সের ৫২.৫০ শতাংশ, ফুওয়াং সিরামিকের ৪৪.৭৭ শতাংশ, সিএন্ডএ টেক্সটাইলের ৪১.১৮ শতাংশ, বিডি থাইয়ের ৩৩.৬৬ শতাংশ, ইনটেকের ৩১.১৮ শতাংশ, বে-লিজিংয়ের ২৯.৭৩ শতাংশ, সেন্ট্রাল ফার্মার ২৮.৭৩ শতাংশ, সালভো কেমিক্যালের ২৬.৭২ শতাংশ, অলিম্পিক এক্সেসরিজের ২২.০৬ শতাংশ, আইএসএনের ২১.৮২ শতাংশ, ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের ২১.৫৭ শতাংশ এবং আফতাব অটোমোবাইলের ১৯.৫২ শতাংশ।

নন-মার্জিন শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস : এ্যাপেলো ইস্পাত ২.৮০ টাকা, আলহাজ্ব টেক্সটাইল ২৬.৫০ টাকা, ডেল্টা স্পিনার্স ৩ টাকা, ডেল্টা স্পিনার্স ৩ টাকা, ফাস ফাইন্যান্স ৪ টাকা, ফ্যামিলি টেক্স ১.৮০ টাকা, জেনারেশন নেক্সট ২.২০ টাকা, ফুওয়াং সিরামিক ৬.৭০ টাকা, বিডি থাই ১০.১০ টাকা, সিএন্ডএ টেক্সটাইল ১.৭৯ টাকা, সেন্ট্রাল ফার্মা ১২ টাকা, ইমাম বাটন ১৯.১০ টাকা, ইনটেক ১৮.৬০ টাকা, মিথুন নিটিং ৬.৬০ টাকা, ম্যাকসন্স স্পিনিং ৫.২০ টাকা, অলিম্পিক এক্সেসরিজ ৬.৮০ টাকা, সালভো ক্যামিকেল ১০.১০ টাকা এবং ইউনাইটেড এয়ার ১.৪০ টাকা।