শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটে অবশেষে সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদ ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেট থেকে মূল মার্কেটে পুনরায় তালিকাভুক্তির অনুমোদন দিয়েছে। আগামীকাল ২ জুলাই থেকে কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু করবে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ডিএসইতে কোম্পানিটির ট্রেডিং কোড হবে “SONALIPAPR”। আর ডিএসইতে সোনালী পেপারের কোম্পানি কোড হবে ১৯৫০৩। অন্যদিকে সিএসইতে কোম্পানির কোড হবে ১৯০০০৩। তবে সোনালী পেপারকে মূল মার্কেটে কিছু শর্ত মেনে লেনদেন করতে হবে। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে- কোম্পানির রেফারেন্স প্রাইস এবং ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হবে ওটিসি মার্কেটের সর্বশেষ ক্লোজ প্রাইসকে। অর্থাৎ কোম্পানিটি গত ৩০ জানুয়ারি ওটিসিতে সর্বশেষ ২৭৩ টাকায় লেনদেন করেছিল। ওই ২৭৩ টাকাকে কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস হিসাবে নির্ধারণ করা হবে।

ডিএসইতে লেনদেনের প্রথম দিন থেকেই কোম্পানির সার্কিট ব্রেকার এবং সার্কিট ফিল্টার (প্রাইস লিমিট) থাকবে। এছাড়া কোম্পানিটি ওটিসি মার্কেট থেকে মূল মার্কেটে ফিরে জেড ক্যাটাগরিতে লেনদেন করবে। সোনালী পেপারকে পরবর্তী বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠানের আগে পরযন্ত জেড ক্যাটাগরিতে লেনদেন করতে হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন বিধিমালা,২০১৩ অনুযায়ী পরবর্তীতে কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন করা হবে।

এদিকে মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। উৎপাদন বন্ধ থাকা, বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) না করা, ধারাবাহিক লোকসান, শেয়ারহোল্ডারদের নিয়মিত লভ্যাংশ না দেওয়া এবং কাগুজে শেয়ার ইলেকট্রনিকে রূপান্তর না করায় ২০০৯ সালের ১ অক্টোবর সোনালী পেপারকে মূল মার্কেট থেকে তালিকাচ্যুত করে ওটিসি মার্কেটে পাঠানো হয়।

প্রায় ১১ বছর ওটিসিতে থাকার পর মূল বাজারে ফিরতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবেদন করে সোনালী পেপার। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছু ধারা থেকে অব্যাহতি দিয়ে গত ২৭ নভেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বাজারে পুনঃতালিকাভুক্তির অনুমোদন দেয় বিএসইসি।

মূল বাজারে ফিরতে যেকোনো কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। একইসঙ্গে ধারাবাহিক ৩ বছর মুনাফায় থেকে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিতে হয়। তবে, সোনালী পেপারকে এই দুটি শর্ত থেকে অব্যাহতি দিয়ে মূল বাজারে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।