শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম: পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতায় সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিএসইসির নানামুখী উদ্যোগের পরও বাজার ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। বাজার আজ ভাল তো কাল খারাপ। এ অবস্থায় মধ্যে দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও একটি স্থিতিশীল বাজার ফিরে পাচ্ছে না বিনিয়োগকারীরা। তাছাড়া আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতি ও তারল্য সংকট এই মুহূর্তে শেয়ারবাজারের সবচেয়ে বড় সমস্যা বলে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের এক আলোচনায় উঠে এসেছে।

এরমধ্যে তারল্য সংকট সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংককে এগিয়ে আসতে হবে। শেয়ারবাজারের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আজ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

সভায় বিএসইসির কমিশনারগণ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদ, আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সানাউল হক, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি মোস্তাক আহমেদ সাদেকসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, পুঁজিবাজারের মন্দাবস্থা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। এক্ষেত্রে আইসিবির ২ হাজার কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন ও কৌশলগত বিনিয়োগকারী থেকে প্রাপ্ত অর্থে ক্যাপিটাল গেইন টেক্স সুবিধা পাওয়ার পরেও শেয়ারবাজারের মন্দাবস্থায় বিএসইসি হতাশা প্রকাশ করেছে। তবে আমাদের পক্ষ থেকে শেয়ারবাজারের পতন হিসাবে তারল্য সংকট ও রাজনৈতিক ইস্যুকে তুলে ধরা হয়েছে। কারন যে যাই বলুক না কেনো, আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে তারল্য সংকট সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের কারনে। তারা শেয়ারবাজারে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ সীমা দিয়ে সংকট তৈরী করেছে। অথচ তা সমাধানের জন্য কাজ করছে না। এছাড়া অর্থমন্ত্রী শেয়ারবাজারের উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংককে কিছু সুপারিশ করলেও ব্যাংকটি থেকে তা মানা হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, শেয়ারের দর বাড়লেই ব্যাংকগুলোকে বিক্রয় করতে হয়। যা এক প্রকার ফোর্সড সেল। এমনিতেই ব্যাংকগুলোর শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের পরিমাণ কম। এমতাবস্থায় বিষয়টি সমাধানের দরকার। এক্ষেত্রে যা করণীয় তাই করা হবে। বিএসইসি আমাদের পাশে থাকবে।

সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের ঋণ পরিশোধের বিষয়টি মূল্য সংবেদনশীল তথ্য হিসাবে প্রকাশকে কেন্দ্র করে সভায় অনেকে প্রশ্ন তুলেন বলে জানান মিনহাজ মান্নান। আগামিতে যাতে এমনটি না হয়, সেলক্ষ্যে করণীয় নির্ধারনের পরামর্শ দেওয়া হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএসইর এক পরিচালক বলেন, ইভিন্স টেক্সটাইলের মুনাফা সত্ত্বেও কোম্পানিটির পর্ষদ লভ্যাংশ না দেওয়ার মতো হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা নিয়ে আজকের সভায় আলোচনা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিএসইসিসহ সবাই ক্ষুব্ধ মনোভাব প্রকাশ করেছে।