শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: অবশেষে আপন ঠিকানায় যাচ্ছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরের আগারগাঁওয়ে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত নতুন অফিস ভবনে আগামী রোববার থেকে সকল দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে সংস্থাটি। সে অনুযায়ীই চলছে প্রস্তুতি। চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি বিএসইসির নবনির্মিত ১০তলা ওই ‘সিকিউরিটিজ কমিশন ভবন’ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার বিএসইসি’র বর্তমান (পুরাতন) অফিসে গিয়ে দেখা যায়, নিজস্ব ভবনে যাওয়ার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন। চলছে ফাইল-পত্র গুছানোর কাজ। জানা গেছে, ইতোমধ্যে নতুন ভবনে কার্যক্রম শুরু করেছে কমিশনের সার্ভিল্যান্স বিভাগ। এ সপ্তাহের মধ্যে অন্যান্য বিভাগগুলোও স্থানান্তর করা হবে। সবকিছু ঠিক-ঠাক থাকলে রোববারই নতুন ভবনে সকল কার্যক্রম শুরু করবে বিএসইসি।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণকে জানান, কমিশনের সবগুলো বিভাগই ধাপে ধাপে নতুন ভবনে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। ইতোমধ্যে আমাদের সার্ভিল্যান্স বিভাগ নতুন ভবনে অফিস শুরু করেছে। পরিকল্পনা রয়েছে, আগামি রোববার থেকে নিজস্ব ভবনে কমিশনের সকল বিভাগের কার্যক্রম শুরু করার এবং সেভাবেই প্রস্তুতি চলছে’।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৩ সালের ৮ জুন এ কমিশন গঠন করার পর থেকে রাজধানীর দিলকুশার জীবন বীমা টাওয়ারে ভাড়া করা অফিসে সকল দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে সংস্থাটি। তবে ২০১৩ সালের ২৪ নভেম্বর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে প্রস্তাবিত ১০০ ফুট রাস্তার পাশে বিএসইসি নিজস্ব ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিএসইসির নিজস্ব অর্থায়নে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে একতলা বেজমেন্টসহ ১০ তলা ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ভবনের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করতে ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (এনডিই) সঙ্গে চুক্তি করে বিএসইসি ও গণপূর্ত অধিদপ্তর। শূন্য দশমিক ৩৩ একর নিজস্ব জমির ওপর ‘সিকিউরিটিজ কমিশন ভবন’ নির্মাণে ব্যয় হয় ৬০ কোটি টাকা।

নকশা অনুযায়ী, এ ভবনের মোট আয়তন ৮৯ হাজার ২৫০ বর্গফুট। বিএসইসির নিজস্ব অফিস ছাড়াও অত্যাধুনিক এ ভবনে রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের কনফারেন্স হল, বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারের এজলাস, আধুনিক লাইব্রেরি, ডে-কেয়ার সেন্টার, ক্যান্টিনসহ অন্যান্য সুবিধা। ভবনের যাতায়াতকারীদের সুবিধার্থে রয়েছে তিনটি আধুনিক লিফট।

এছাড়াও সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এ ভবনের বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে রয়েছে উচ্চ শক্তিসম্পন জেনারেটর ও সৌরশক্তির ব্যবস্থা। আশা করা হচ্ছে, সম্পূর্ণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বিএসইসি ভবন প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিএসইসি’র কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।