পিএফআই সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে বিএসইসিতে অভিযোগ
শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: প্রাইম ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেষ্টমেন্ট বা পিএফআই সিকিউরিটিজ, রাজশাহী শাখার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন মো: আসাদুল ইসলাম নামে একজন বিনিয়োগকারী। তার হাউজ কোড: জ-৭১৫, বিও আইডি: ১২১৭৪০০০৮৬৮২০৮১।
পিএফআই সিকিউরিটিজ অভিযোগকারীর বিও আইডিতে লেনদেন করতে না দেয়া, পোর্টফলিও’র শেয়ার জোরপূর্বক বিক্রি (ফোর্সসেল) করে দেয়াসহ মাত্রাতিরিক্ত সুদ আরোপ করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সম্প্রতি বিনিয়োগকারী মো: আসাদুল ইসলাম এ সংক্রান্ত চিঠি বিএসইসিতে দাখিল করেছেন।
বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। চিঠিতে বলা হয়, ২০১০ সালে রাজশাহীতে পিএফআই প্রতিষ্ঠিত হলে তাদের মার্কেটিং পলিসির প্রলোভনে আইসিবি রাজশাহী শাখা থেকে পিএফআই রাজশাহী শাখায় ব্যবসা শুরু করে মো: আসাদুল ইসলাম।
উল্লেখ্য যে, আইসিবিতে তার কোনো মার্জিন লোন ছিল না। রাইট শেয়ারে বিনিয়োগসহ তার মোট বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৪০ লাখ টাকা। ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে ধসের পর থেকে তার বিও আইডি মার্জিন ঋণের কারণে নেগেটিভ ইক্যুইটিতে দাঁড়ায়।
হাউজ কর্তৃপক্ষকে ফোর্সসেল না করার অনুরোধ জানায় এবং ফোর্সসেল করা হবে না বলে হাউজ কর্তৃপক্ষ তাকে আশ্বস্ত করে। কিন্তু পিএফআই সিকিউরিটিজ তাকে পোর্টফোলিও দিতো না। পরবর্তীতে তিনি কৌশলে ৮ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে পোর্টফলিও এবং লেজার স্টেটমেন্ট উত্তোলন করে দেখে যে তার অ্যাকাউন্টে ফোর্সসেল করা হয়েছে।
এই বিনিয়োগকারী আরো অভিযোগ করেন, এ পর্যন্ত পিএফআই ১৯ শতাংশ সুদ আরোপ করেছে যা বাংলাদেশে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নেই। তারপরও তিনি মার্জিন ঋণের আরোপিত সুদ মওকুফ করে পোর্টফোলিও’র মার্কেট ভ্যালুর ৫০ শতাংশ টাকা দিয়ে বিও আইডিটি ঋণ মুক্ত করে নতুন করে লেনদেনের সুযোগ চেয়ে হাউজের কাছে প্রস্তাব করেন।
কিন্তু হাউজ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো কর্ণপাত না করে নতুনভাবে বিও অ্যাকাউন্ট খুলে লেনদেন করার পরামর্শ দেন এবং আগের অ্যাকাউন্টের আশা ছেড়ে দিতে বলেন।
বিনিয়োগকারী মো: আসাদুল ইসলাম চিঠির সর্বশেষে দাবি করেন, বাংলাদেশের বহু আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ দিয়ে সুদ আসল মওকুফ করার রেওয়াজ রয়েছে। পিএফআই ফোর্সসেল দিয়ে তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করা সত্ত্বেও ভবিষ্যতের আশায় সে আরো প্রায় ৮ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে বিও আইডিকে ঋণ মুক্ত করে দৈনন্দিন লেনদেন করতে আগ্রহী।
বর্তমানে বিও আইডিতে যে শেয়ার রয়েছে তা বিক্রি/ভবিষ্যতে বিক্রি করে পিএফআই এর সুদ আসল টাকা উঠানো প্রায় অসম্ভব। তাই মার্জিন ঋণের সুদ যেন মওকুফ করা হয় সে আবেদন করেছেন বিনিয়োগকারী মো: আসাদুল।
এ ব্যাপারে পিএফআই সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।সুত্র: দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণ