dse-cse lagoশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ব্রেক্সিটের (ব্রিটেন এক্সিট) কারণে কিছুটা আতংকে পরেছেন দেশের শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা। এর প্রভাবে বাজারের গতি-প্রকৃতি কেমন হবে তা বুঝতে পারছেন না অনেকেই। তবে এ নিয়ে বিশ্লেষকরা ভিন্ন কথা বললেও বিনিয়োগকারীরা তাতে আস্থা রাখতে পারছেন না। এর ফলে অনেক বিনিয়োগকারী আকর্ষণ হারিয়ে লেনদেনে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের রেড সিগন্যালে শেষ হয় লেনদেন। এদিন শুরুতে অত্যাধিক পতন থাকলেও প্রথম ঘন্টা পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা অবহ্যাত থাকে।

এবং কয়েকবার গ্রিণ সিগন্যালে ফিরলেও শেষে নিম্নমুখীতেই বিরাজ করছে বাজার। এরই ধারাবাহিকতায় দিনশেষে সূচকের পাশাপাশি  অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। আর টাকার অংকে লেনদেন ডিএসইতে ভাটা থাকলেও সিএসইতে লেগেছে জোয়ার।

দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪৩৮০ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১০৮০ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ০.৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৭১৪ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২০ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৮১টির, কমেছে ১৯৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৬টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ২৫৬ কোটি ৭৫ লাখ ৩৯ হাজার টাকা।

এর আগে বৃহস্পতিবার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৪৩৮১ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২  পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১০৭৮ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১৭১৪ পয়েন্টে। ওইদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩১১ কোটি ৬০  লাখ ৮৩ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৫৪ কোটি ৮৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকা বা ১৭.৬০ শতাংশ।

এদিকে, দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ সূচক ১৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮১৭৭ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৪৪টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬২টির, কমেছে ১৫১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির। আজ সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ২৪ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।

এর আগে বৃহস্পতিবার সিএসইর সাধারণ মূল্য সূচক ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৮২০০ পয়েন্টে। ওইদিন লেনদেন হয় হয়েছে ২৩ কোটি ৩৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৫৫ কোটি ৮৮ লাখ ২২ হাজার টাকা বা ২৩৯.১৫ শতাংশ।