স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে টানা দরপতনে বাজারের প্রতি আস্থা নেই ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের। এ অবস্থায় দুর্বল কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজি করছে একটি চক্র। ফলে দুর্বল শেয়ারে হু হু করে বাড়ায় আস্থা বেড়েছে, অন্যদিকে ভালো মৌল ভিত্তি শেয়ারে দীর্ঘদিন না বাড়ায় অনাস্থা তৈরি হয়েছে।  দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় ধরে পুঁজিবাজারে টানা দরপতনে ভালো মৌল ভিত্তি শেয়ারের দাম খাদের কিনারায়।

বিনিয়োগকারীরা ভালো মৌল ভিত্তি শেয়ারে আটকে থাকায় বিক্রি করতে পারছেন না। অন্যদিকে মৌলভিত্তি শেয়ার উপেক্ষা করে কখনও কখনও দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দাম হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করে। কিছুদিন বাড়ার পর আবার হঠাৎ করে অস্বাভাবিক দরপতন হচ্ছে। এর ফলে শেয়ারহোল্ডাররা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এর সবই ছোট মূলধনের সর্বস্ব কোম্পানি।

এ কারণে এসব কোম্পানির শেয়ারের দাম অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করেই প্রভাবিত করা যায়। যে কারণে চক্রটি কারসাজি করতে ছোট মূলধনের দুর্বল কোম্পানিগুলো বেছে নিচ্ছে। এসব কারণে দুর্বল কোম্পানির শেয়ার কিনে বিপাকে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে দেশের পুঁজিবাজারে চলছে আস্থার সংকট। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

বাজার সংশ্লিস্টরা বলছেন, দেশের পুঁজিবাজারে এখন দুর্বল মৌল ভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির শেয়ার কেনা ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিপরীতে তুলনামূলক সস্তায় মিলছে ভালো মৌলভিত্তির শেয়ার। কারণ স্বল্প সময়ে বেশি লাভের আশায় বেশি দামে পচা বা জাংক শেয়ার কিনছেন বিনিয়োগকারীরা।

এদিকে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের বড় পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন সূচকের সাথে কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। তবে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৪৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৩৭৭ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৬১ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ২৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২ হাজার ৬৪ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ৪০১ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৫ টির, দর কমেছে ২৮২ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪ টির। ডিএসইতে ৭৮৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৫০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বেশি। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭৩৬ কোটি ৮১ লাখ টাকার ।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১০৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৮২ পয়েন্টে। সিএসইতে ২১৭ টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির মধ্যে ৬৩ টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৩৬ টির এবং ১৮ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১২ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।