শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: মাত্র আড়াই বছর আগে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এসএমই খাতের হিমাদ্রি লিমিটেডের শেয়ারদর ছিল ৩৮ টাকা। তবে বিশেষ সুবিধা নেওয়া একটি শ্রেণি এবং কারসাজির মাধ্যমে মাত্র ৭ মাসে শেয়ারটি ৮ হাজার ৯৪১ টাকায় পৌঁছে যায়। বিশেষ শ্রেণিটি বেরিয়ে যাওয়ার পর শেয়ার দর টানা কমতে থাকে। সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে ৮ শতাংশের বেশি পতনের পর এটি নেমেছে ৯০০ টাকায়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, হিমাদ্রির শেয়ার সংখ্যা কম হওয়ায় অল্প লেনদেনের মধ্যেই দাম ওঠানামা করা সম্ভব। কারসাজি চক্র প্রথমে নিজেদের মধ্যে লেনদেন করে দর বাড়ায়, পরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে উচ্চ দরে বিক্রি করে বেরিয়ে যায়।

এই কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ২ কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, মোট শেয়ার সংখ্যা ২৬ লাখ ২৫ হাজার। উদ্যোক্তা ও পরিচালকের হাতে রয়েছে ৬৬ শতাংশ, সরকারের হাতে ১ শতাংশ, এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৩২.৫ শতাংশ।

২০২৪ সালে বিএসইসির তৎকালীন কমিশন শেয়ারটির অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধি নিয়ে তদন্ত চালায়। ২৭ এপ্রিল থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শেয়ার ৩৮ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৬ হাজার ৪৭৪ টাকায় ওঠে। এরপরও কারসাজি অব্যাহত থাকে এবং শেয়ার দর ৮ হাজার ৯৪১ টাকায় পৌঁছায়। এক ব্যক্তি ও তিন প্রতিষ্ঠানকে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়, যদিও তারা ৮২ কোটি টাকার মুনাফা লুফে নিয়েছিল।

সাম্প্রতিক সময়ে শেয়ারে বড় লেনদেনও পরিলক্ষিত হয়েছে। ৩১ জুলাই ৭ হাজার ৭২৯টি শেয়ার, ২১ সেপ্টেম্বর ৫ হাজার ৮০টি এবং আজ ১ হাজার ১৬২টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। হিমাদ্রি লিমিটেডসহ ৪টি কোম্পানি ও দুটি নতুন কোম্পানি নিয়ে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ডিএসইর এসএমই প্ল্যাটফর্ম শুরু হয়। চার বছর অতিবাহিত হলেও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ তেমন বাড়েনি।