বছরের শুরুতে সুবাতাস বইছে পুঁজিবাজারে, সেক্টর রোটেশনে স্থিতিশীলতার আভাস

শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বিদায় নেওয়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ কার্যদিবস দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের দরপতন হলেও ফের উত্থানে ফিরে এসেছে পুঁজিবাজার। এর আগে টানা পাঁচ কার্যদিবস ডিএসই সূচক বেড়েছিল। ব্যাংক হলিডের ছুটির পর দিন লেনদেন শুরু হলে আগের দিনের ধারাবাহিকতা ফিরে আসে পুঁজিবাজার। এদিন বীমা ও ব্যাংক খাত এবং আর্থিক খাতের শেয়ারে ভর করে সূচকের উত্থান হয়েছে। এছাড়া সূচকের সাথে বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর ও টাকার পরিমানে লেনদেন। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, পুঁজিবাজার দীর্ঘদিনের অনিশ্চয়তা কাটিয়ে আবার ধীরে ধীরে স্থিতিশীলতার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। মুলত বাজার ঘুরে ফিরে সব সেক্টরে মুভমেন্ট করার চেষ্টা করছে। এতে বাজারের প্রতি আস্থা বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের। গত জুন মাসের শুরু থেকে উত্থানে ছিলো পুঁজিবাজার। ঐ সময়ের মধ্যে ১৬ কার্যদিবস লেনদেনে ১১ কার্যদিবস বেড়েছে সূচক। আর বাকি পাঁচ কার্যদিবস সূচক কমেছে। মুলত ১১ কার্যদিবসে সূচক বেড়েছে ৩৬৪ পয়েন্ট। এছাড়া ৫ কার্যদিবসে সূচক কমেছে ১৬৬ পয়েন্ট। ফলে সূচকের উঠানামার মধ্যে স্থিতিশীল হচ্ছে পুঁজিবাজার।
বিশ্লেষকদের মতে, পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতার আভাস দিচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের এখন বুঝে শুনে শেয়ার ক্রয়ের উত্তম সময়। কারণ বিদেশি বিনিয়োগ সরকার ও নীতিনির্ধারকদের সহায়ক পদক্ষেপ এবং খাতভিত্তিক গতিশীলতা সব মিলিয়ে বাজারে একটি ধীরে ধীরে আস্থার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন তারা।
এছাড়া চলমান অর্থনৈতিক সংস্কার, সরকারের স্থিতিশীলতার বার্তা এবং নীতিনির্ধারকদের সহায়ক অবস্থান বাজারের গতি ধরে রাখতে সহায়ক হবে। এই উত্থান বাজারে নতুন করে বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি করতে পারে এবং সামনের দিনগুলোতে বাজার আরো শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ২৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৮৬৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৬৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৮১৭ পয়েন্টে।
দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৭ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৭৭ টির, দর কমেছে ৬৯ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫১ টির। ডিএসইতে ৪৭৯ কোটি ৫২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ১৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা বেশি। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৬৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকার।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৫২৮ পয়েন্টে। সিএসইতে ২১০ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৪০ টির দর বেড়েছে, কমেছে ৪৪ টির এবং ২৬ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।