শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। ফলে শঙ্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পুঁজিবাজার। ফলে একদিকে যেমন বাড়ছে সূচক, তেমনি বাড়ছে লেনদেনও। তাছাড়া গত দিন কার্যদিবসের সূচকের কিছুটা উত্থানে নতুন করে আস্থা ফিরছে বিনিয়োগকারীদের।

এছাড়া বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যানের ফ্লোর প্রাইস ইস্যুতে সাহসী পদক্ষেপের কারণে বাজারে আস্থা ফিরছে বিনিয়োগকারীদের। ফ্লোর প্রাইস ইস্যুর ভয় কাটছে বিনিয়োগকারীদের। ফলে পুঁজিবাজারে এখন স্বাভাবিক লেনদেনে হতে শুরু হচ্ছে। আবার স্বাভাবিক লেনদেনে বাজার ক্লোজ হচ্ছে। এতে বাজারে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরছে ও বিনিয়োগকারীদের মাঝে আস্থাও বাড়ছে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

একাধিক বিনিয়োগকারীদের সাথে আলাপকালে বলেন, সার্বিক দিক থেকে বাজারে স্বাভাবিক হতে শুরু করছে। বাজারের এ গতি চলমান থাকলে পুঁজি হারানো বিনিয়োগকারীরা বাজারমুখী হতে শুরু করবে। এতে একদিকে বাজারের প্রতি আস্থা বাড়বে বিনিয়োগকারীদের।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকসহ ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম গত প্রায় এক মাসে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। তাতে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ এসব শেয়ার থেকে কিছুটা মুনাফা তুলে নিচ্ছেন। ফলে কোম্পানিগুলোর শেয়ারের মূল্য সংশোধন হচ্ছে। একটি খাত থেকে মুনাফা তুলে নিয়ে অন্য খাতে বিনিয়োগ করছেন বিনিয়োগকারীরা। যেসব শেয়ারে বিনিয়োগ বাড়ছে, সেগুলোর দাম ও লেনদেনের পরিমাণও বাড়ছে। এটিকে বাজারের স্বাভাবিক প্রবণতা হিসেবেই দেখছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ২৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৮২৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৪৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ১২৮ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৭ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৫৫ টির, দর কমেছে ১০০ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫ টির। ডিএসইতে ৯৩৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ২৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা কম। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৯৬৩ কোটি ২৬ লাখ টাকার।

অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১০৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৬২৩ পয়েন্টে। সিএসইতে ২২১ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৪০ টির দর বেড়েছে, কমেছে ৬৫ টির এবং ১৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।