শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের কিছুটা দরপতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে। এদিন কারসাজির কয়েকটি শেয়ারে হঠাৎ করে অস্থরিতা নেমে আসে। যার প্রভাবে বাজারে ছন্দপতন হতে থাকে। বেলাশেষে দেখা যায়, লেনদেন শুরুর বড় উত্থান শেষবেলায় পতন প্রবণতায় রূপ নেয়। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, আজ ইতিবাচক প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয়েছিল। আধা ঘন্টার মধ্যে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক প্রায় ১৭ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৮০ পয়েন্ট অতিক্রম করে। তারপর কিছুটা সংশোধন হয়ে ফের বাজার ঊর্ধ্বমুখী হয়। কিন্তু বেলা সোয়া ১১টার পর কারসাজির কয়েকটি শেয়ারে অস্থিরতা শুরু হয়। যার প্রভাব বাজারে ধারাবাহিকভাবে নামতে থাকে।

এরপর বেলা যতই গড়াচ্ছিল, কারসাজির সেসব শেয়ারে অস্থিরতা বাড়তেছিল। বেলা পৌনে ১টায় বাজারে ধারাবাহিক পতন দেখা যায়। এই সময়ে প্রায় সব শেয়ারেই সেল প্রেসার বাড়তে থাকে। এমনকি দিনের শুরুতে পালে হাওয়া লাগা বিমার শেয়ারও নিচের দিকে নামতে থাকে। ফলে বাজার আর ঘুরতে পারে না। লেনদেন উত্থানের দিনেও দেখা যায় প্রবণতা।

আজ ৭৬৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ১৬৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা বেশি। আগেরদিন ডিএসইতে ৬০১ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।

এদিন ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ২৬২ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৬৩ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১০৫ পয়েন্টে। আজ ডিএসইতে ৩৪৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮১টির, কমেছে ৯৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬৭টির।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। আজ সিএসইতে ১১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আজ সিএসইতে ২০৩টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫২টির, কমেছে ৬১টির। দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৯০টি প্রতিষ্ঠানের।