শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম: সপ্তাহজুড়ে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে ফু-ওয়াং ফুড লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৭৫ হাজার ২৯৫টি শেয়ার ১৪০ কোটি ৯৮ লাখ টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৯ দশমিক ৭১ শতাংশ কমেছে।

বৃহস্পুিতবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ারদর ২ দশমিক ৫৫ শতাংশ বা ৯০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৩৪ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর শেয়ারটির দর সর্বনিম্ন ৩৪ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ টাকা ৬০ পয়সায় ওঠানামা করে। এদিন কোম্পানিটির ৫৬ লাখ ৪২ হাজার ৪৩৩টি শেয়ার ৪ হাজার ৪৮২ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর ৪৬ টাকা ৯০ পয়সা ও সর্বনিম্ন ২৩ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত প্রথমার্ধের বা ছয় মাসের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৭৪ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৮ পয়সা।

২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ২৬ পয়সা (লোকসান) এবং ৩০ জুন, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ১৮ পয়সা। এ হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৪৫ পয়সা।

২০০০ সালে পুঁজিবাজারে আসা ‘বি’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১৫০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১১০ কোটি ৮৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারসংখ্যা ১১ কোটি আট লাখ ৩৯ হাজার ২৮৪টি। মোট শেয়ারের মধ্যে ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের হাতে, ১০ দশমিক ৯২ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক, এক দশমিক ০৮ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে এবং ৮০ দশমিক ১৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে।

অন্যদিকে গত সপ্তাহে লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ৫০ লাখ ২৭ হাজার ৯৭৩টি শেয়ার ১০৮ কোটি ৭৭ লাখ ৭০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১ দশমিক ৯২ শতাংশ কমেছে।

তালিকায় তৃতীয় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ১ কোটি ২৪ লাখ ৯১ হাজার ৪৬৫টি শেয়ার ১০৫ কোটি ৩৩ লাখ ৩০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ২৮ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেড়েছে।

এরপরের অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের গত সপ্তাহে মোট ৭৯ লাখ ১৭ হাজার ৫০৫টি শেয়ার ৯৭ কোটি ২১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ২৮ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ২ দশমিক ২৭ শতাংশ বেড়েছে।

ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের গত সপ্তাহে মোট ৫২ লাখ ৯১ হাজার ১২টি শেয়ার ৮২ কোটি ৮৩ লাখ ৮০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ২ দশমিক ৭৯ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ কমেছে।

খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের গত সপ্তাহে মোট ২ কোটি ৪২ লাখ ৩৫ হাজার ৯০৫টি শেয়ার ৭৯ কোটি ২৫ লাখ ৬০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ২ দশমিক ৬৭ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৬ দশমিক ৬১ শতাংশ কমেছে।

কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের গত সপ্তাহে মোট এক কোটি ৫২ লাখ ৫৬ হাজার ৭৮৬টি শেয়ার ৭০ কোটি ৪৭ লাখ ১০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ২ দশমিক ৩৮ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১১ দশমিক ০১ শতাংশ বেড়েছে।