শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ভিন্ন ভিন্ন খাতের আট কোম্পানি লভ্যাংশ ঘোষণা করেও জেড ক্যাটাগরিতে যাচ্ছে। কোম্পানিগুলো সর্বশেষ সমাপ্ত অর্থবছর ৩০ জুন ২০২২ সালে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে ঘোষিত ডিভিডেন্ড বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক ও বিও হিসাবে জমা না দেওয়ায় কোম্পানিগুলোকে জেড গ্রুপে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গত রোববার বিএসইসি এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছে। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এই আট কোম্পানির মধ্যে রয়েছে: ফরচুন সুজ, তৌফিকা ফুড, লুব-রেফ (বাংলাদেশ), অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন, এসএস স্টিল, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, সাফকো স্পিনিং মিলস এবং প্যাসিফিক ডেনিমস। এসব কোম্পানিকে জরিমানা এবং শাস্তির সম্মুখিন হতে হবে। তারা গত বছরের জুনে শেষ হওয়া বছরের জন্য এক শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশের মধ্যে লভ্যাংশ সুপারিশ করেছে।

তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ ইস্যুকারীরা ঘোষণা বা অনুমোদনের ৩০ দিনের মধ্যে লভ্যাংশ পরিশোধ করতে বাধ্য। ক্যাশ ডিভিডেন্ড সিকিউরিটিজ হোল্ডারদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এবং স্টক ডিভিডেন্ড বিও (বেনিফিসিয়ার মালিকের) অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করতে হবে। কিন্তু এই কোম্পানিগুলো তা পরিপালনে ব্যর্থ। তাই বিএসইসি কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গত রোববার নন-কমপ্লায়েন্ট কোম্পানিগুলোর কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বলেছে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড না দেওয়াটা ‘বাজার কারসাজির’ সমতুল্য। নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোন কোম্পানি ডিভিডেন্ড দিতে ব্যর্থ হয় এবং পরপর তিন বছর বার্ষিক সাধারণ সভা করতে ব্যর্থ হয় তাহলে সেই কোম্পানি ‘জেড ক্যাটাগরিতে’ স্থানান্তর হবে।

এদিকে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এসএমই বোর্ডের আরও পাঁচটি কোম্পানি ২০২১-২২ অর্থ বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য একই ধরনের শাস্তিমূলক পদক্ষেপের সম্মুখীন হয়েছে।এসএমইর এই পাঁচ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে অরিজা এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, বিডি পেইন্টস, মামুন এগ্রো প্রোডাক্টস, কৃষিবিদ বীজ এবং কৃষিবিদ ফিড।