শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করতে চাওয়া ইসলাম অক্সিজেনের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) আবেদন বাতিল করে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মুলত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালগুলোতে গ্যাস এবং চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইসলাম অক্সিজেন লিমিটেডের বিরুদ্ধে বিপুল অংকের মূসক বা ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ উঠে। ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানিটি প্রকৃত বিক্রয়তথ্য গোপন করে মূসক দাখিল করে।

মূসক দাখিল পত্রে কোম্পানিটি কম বিক্রয়মূল্য প্রদর্শন করে ৬১ কোটি পনেরো লাখ তিরানব্বই হাজার ২২০ টাকা মূসক ফাঁকির অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। সম্প্রতি কোম্পানিটি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের ( আইপিও) মাধ্যমে পুজিবাজার থেকে ৯৩ কোটি টাকা সংগ্রহের জন্য আবেদন করেছে।

কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ আ্যন্ড একচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যানের বরাবর ভ্যাট ফাঁকির তথ্য প্রকাশ করে। মেসার্স ইসলাম অক্সিজেন লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানটি পাঁচ বছরের মাসিক দাখিলপত্রের সাথে কর অঞ্চল- ৭ থেকে পাঠানো অডিট ফার্মের পক্ষ থেকে সরবরাহ করা নিরীক্ষা প্রতিবেদন আড়াআড়িভাবে যাচাই করা হয়।

এক্ষেত্রে অডিট ফার্মের বার্ষিক রিপোর্টে প্রদর্শিত মূল্যের সাথে মূসক সংক্রান্ত দাখিল পত্রে ব্যাপক অসামঞ্জ্যসতা ধরা পড়েছে। শুধু তাই নয় প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে প্রকাশিত প্রসপেক্টাসেযে আর্থিক বিবরণী দেওয়া হয়েছে তার সাথে স্থানীয় ভ্যাট কার্যালয়ে দাখিলকৃত মাসিক রিটার্নের তথ্যের অমিল পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ইসলাম অক্সিজেন কর্তৃপক্ষ আর্থিক হিসাবে অতিমূল্যায়িত করে সম্পদ দেখিয়েছে।

এছাড়া বিক্রির বিপরীতে প্রমাণাদি দেখাতে পারেনি ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট ফাঁকি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এসব বিবেচনায় কোম্পানিটির আইপিও আবেদন বাতিল করে দিয়েছে কমিশন। উল্লেখ্য, ইসলাম অক্সিজেন কর্তৃপক্ষ শেয়ারবাজার থেকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ৯৩ কোটি টাকা উত্তোলন করতে চেয়েছিল। এজন্য কোম্পানিটির ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর রোড শো’র আয়োজন করা হয়েছিল।

এ কোম্পানিটিকে শেয়ারবাজারে আনতে ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল জনতা ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট এবং রেজিষ্ট্রার টু দ্যা ইস্যুয়ারের দায়িত্বে ছিল সোনালী ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। তবে পেছনে থেকে মূলত ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছে শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট। যে প্রতিষ্ঠানটি এরইমধ্যে কয়েকটি কোম্পানিকে ভূয়া আর্থিক হিসাব দিয়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করেছে।