শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুঁজিবাজার নিয়ে গুজব ছড়িয়ে বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করা দায়ে কারাগারে গেছেন মো. আবু রমিম ওরফে মঈনউদ্দিন তামিম। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) করা এক মামলায় আলোচিত ব্যক্তিকে ১২ মার্চ কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত।

এখন কারাগার থেকে ওই ব্যক্তিকে রিমান্ডে আনার আবেদন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ইউনিটের (উত্তর) পরিদর্শক মো. দাউদ হোসেন। তিনি এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

এ বিষয় জানতে চাইলে পুলিশ পরিদর্শক দাউদ হোসেন বলেন, ‘অভিযুক্ত আসামি ১২ মার্চ জামিনের জন্য নিম্ন আদালতে হাজির হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে প্রেরণ করেন। এর আগে তিনি গত বছরের ২৩ নভেম্বর উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্র্বতীকালীন জামিন নেন। সেই জামিনের মেয়াদ শেষে তিনি নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন চান, কিন্তু তা নাকচ হয়। পরে আদালত থেকে বিষয়টি তদন্তকারী কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। তাই আমরা এখন আদালতে রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছি।’

বিএসইসি সূত্রে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘বিডি স্টকস ডিসকাশন’ নামের একটি গ্রুপে শেয়ারবাজার নিয়ে নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করেন মঈনউদ্দিন তামিম। বিএসইসি দীর্ঘ সময় ফেসবুক গ্রুপটি ফলো করে নানা ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানোর প্রমাণ পায়। তারই অংশ হিসেবে আবু রমিমের বিরুদ্ধে গত ২০ নভেম্বর রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করা হয়। পরে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ইউনিটে (উত্তর) স্থানান্তরিত হয়।

বিএসইসির করা মামলায় অভিযুক্ত আসামির স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করা হয় ফেনীর দাগনভূঞা। আর অস্থায়ী ঠিকানা দেখানো হয় চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন চকবাজার এলাকায়। তবে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা দাউদ হোসেন বলেন, ‘মামলার এজাহারে অভিযুক্ত আসামির নাম উল্লেখ ছিল আবু রমিম। তবে আমরা জেনেছি, তাঁর প্রকৃত নাম মঈনউদ্দিন তামিম।’

এ বিষয় জানতে চাইলে বিএসইসির মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘পুঁজিবাজার নিয়ে গুজব ছড়ানো বেশ কিছু ফেসবুক গ্রুপ ও সেগুলোর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা আমাদের নজরদারিতে রয়েছেন। এরই মধ্যে কিছু ফেসবুক গ্রুপ বন্ধ করা হয়েছে। কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।’ রেজাউল করিম জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ারবাজার নিয়ে যেকোনো ধরনের গুজব ছড়ানো সিকিউরিটিজ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।