শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে লেনদেনে গতি ফেরাতে তালিকাভুক্ত ১৬৯ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্যস্তর তুলে নেওয়া হয়েছে। একইসাথে এসব কোম্পানির শেয়ার দর এক দিনে কমার সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ হয়েছে ১ শতাংশ। ফলে ১০ টাকার নিচে থাকা শেয়ারের দর কমতে পারবে না। ১০ থেকে ২০ টাকা দর আছে এমন কোম্পানির দর একদিনে কমতে পারবে ১০ পয়সা। বুধবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এর আগে গত জুলাইয়ে পুঁজিবাজারের বড় পতন ঠেকাতে তালিকাভুক্ত

কোম্পানিগুলোর ফ্লোর প্রাইস জারি করে বিএসইসি। ফ্লোর প্রাইস দেওয়ার কয়েকদিন পর তুলে দেওয়ার বিষয় নানা ধরনের প্রশ্ন ও আলোচনা শুরু হয়। এর মধ্যে রয়েছে শেয়ারদর ন্যায্য মুল্য থেকে বেশি থাকায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগ কমে যাওয়া, বিনিয়োগকারীদের মার্জিন লোনের চাপ এবং কিছু মহল থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার দাবি। তাই ইচ্ছা বা উচিত না হলেও পুঁজিবাজারের স্বার্থে বাধ্য হয়ে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হয়েছে বলে জানায় বিএসইসি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আপাতত বা স্বল্প সময়ে মধ্যে ফ্লোর প্রাইস উঠছে বলে বার বার জানিয়েছিল কমিশন।

আজ অনলাইন পোর্টাল ঢাকা পোষ্টের এক প্রতিবেদনে সকালে বিএসইসি চেয়ারম্যানের বরাত দিয়ে প্রকাশ হয়ে ফ্লোর প্রাইস ইস্যুতে কোন আলোচনা হয়নি। উক্ত সংবাদটি দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণের অনলাইন ভার্সনে ঢাকা পোষ্টের বরাত দিয়ে প্রকাশ হয়। এর পর বিকালে ঘোষণা আসে ১৬৯ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্যস্তর তুলে নেওয়া হয়েছে। এর পর এ ঘটনায় বিনিয়োগকারীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

অনেক বিনিয়োগকারীরা এ বিষয় দেশ প্রতিক্ষণ অফিসে ফোন করে বিষয়টি পরিস্কার হয়। বিনিয়োগকারীদের বক্তব্য বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম সকালে একটা বলেন, ফোর বিকালে আরেকটা করেন। এরকম একেক সময় একেকটা সিদ্ধান্ত নিলে কখনো পুঁজিবাজার ভালো হবে না। তাই শেষমেশ সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারল না বিএসইসি।

এ বিষয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, মার্কেটের লেনদেন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৬৯টি প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হয়েছে। এই কোম্পানিগুলো মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশনের মাত্র ৫ শতাংশ অবদান রাখে। ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হলেও শর্ত দেওয়া হয়েছে দুটি। একদিনে কোম্পানির শেয়ারের দাম সর্বনিম্ন ১ শতাংশ কমতে পারবে। আর সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তে পারবে।