শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিঃ খুব শীঘ্রই বহুল প্রতিক্ষিত অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি) চালু করতে যাচ্ছে। এটিবি চালুর প্রক্কালে এর ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিঃ বিভিন্ন পক্ষের সাথে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করে যাচ্ছে। এই ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত সোমবার মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিবৃন্দের সাথে এক সচেতনতামূলক কর্মশালার অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিএসই’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার, এফসিএ, এফসিএমএ।

মুলত লেনদেন চালু করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ডিএসই। তবে এটিবিতে ওটিসির কোন কোম্পানি শিগগিরই এটিবিতে শেয়ার লেনদেনে অংশ নিচ্ছে না। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বন্ড ও শেয়ার নিয়ে আপাতত লেনদেন শুরু করতে চায় ডিএসই। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জানুয়ারিতেই এটিবিতে শেয়ার লেনদেন চালু করা সম্ভব হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, এটিবিতে লেনদেন শুরুর লক্ষ্যে সোমবার মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের নিয়ে এক সচেতনতামূলক কর্মশালা করেছে ডিএসই। ওই কর্মশালায় ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম সাইফুর রহমান মজুমদার শীঘ্রই এটিবিতে লেনদেনের বিষয়ে ইঙ্গিত দেন।

ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, আশা করি জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে এটিবিতে লেনদেন চালু হবে। লেনদেন চালু করতে হলে তো সিকিউরিটিজ লাগবে। লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ ১০ শতাংশ শেয়ার ছাড়বে। সেটি এটিবিতে লেনদেন হবে। এছাড়াও যমুনা ব্যাংক এবং প্রাণের দুইটি বন্ডও এটিবিতে লেনদেন হতে পারে।

ওটিসির কোম্পানিগুলোর লেনদেন এটিবিতে হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওটিসির কোম্পানিগুলো লেনদেনে আসতে এখনো প্রস্তুত নয়। পুঁজিবাজারে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে ‘এটিবি প্লাটফর্ম রেগুলেশন’ অনুমোদন দেয়।

এটিবিতে প্রাথমিক অবস্থায় মূলত ওভার দ্য কাউন্টার বা ওটিসি মার্কেটে থাকা কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেন হবে। এজন্য গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর ১৮টি কোম্পানিকে ওটিসি থেকে এটিবিতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয় বিএসইসি।

এর আগে, ২০২১ সালে ১৬ সেপ্টেম্বর এক নির্দেশনায় ওটিসি মার্কেট বাতিল করে বিএসইসি। ওটিসিতে থাকা ২৩টি কোম্পানিকে এসএমই বোর্ডে, ১৮টি কোম্পানিকে এটিবি বোর্ডে এবং ২৯টি কোম্পানিকে এক্সিট প্ল্যানের মাধ্যমে বাজার থেকে বের হয়ে যাওয়া সুযোগ দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে ওটিসিতে থাকা ৬টি কোম্পানি এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত হয়েছে।

ওটিসি থেকে এটিবিতে স্থানান্তর করা কোম্পানিগুলো নিয়ে সম্প্রতি অনুসন্ধান করে অর্থসংবাদ। তবে অনুসন্ধানে বেশকিছু কোম্পানির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। আবার কিছু কোম্পানির সম্পদ বিভিন্ন ব্যাংক নিলামে বিক্রি করে দেওয়ার তথ্যও পাওয়া গেছে।