শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ‘ডিজিটাল সাবমিশন ও ডেসিমিনেশন প্ল্যাটফর্ম’ তৈরি করেছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই-সিএসই) কর্তৃপক্ষ। এ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ তথ্য সংগ্রহ, ফাইলিং এবং প্রচার করবে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠান দুটি প্ল্যাটফর্মের কার্যক্রম শুরু করার অপক্ষোয় আছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন পেলেই প্ল্যাটফর্মটি চালু করবে ডিএসই ও সিএসই।

প্ল্যাটফর্ম তৈরির হালনাগাদ তথ্য জানতে ডিএসইর সঙ্গে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। সম্প্রতি ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে ‘ডিজিটাল সাবমিশন ও ডেসিমিনেশন প্ল্যাটফর্ম’ সংক্রান্ত বৈঠকের বিষয়ে চিঠি দিয়েছে বিএসইসি।

চিঠিতে বিএসইসি জানিয়েছে, গত ২ অক্টোবর উল্লিখিত বিষয়ে ডিএসইর চিঠি এসেছে। এ পরিস্থিতিতে আগামী ১৪ নভেম্বর বেলা ১২টায় সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে ‘ডিজিটাল সাবমিশন ও ডেসিমিনেশন প্ল্যাটফর্ম’ বিষয়ে বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। উল্লেখ্য, এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।

এর আগে ‘ডিজিটাল সাবমিশন ও ডেসিমিনেশন প্ল্যাটফর্ম’ চালুর অবস্থা সম্পর্কে জানতে চেয়ে ডিএসই-কে চিঠি দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ অক্টোবর প্ল্যাটফর্মটি চালুর প্রস্তুতির বিষয়ে বিএসইসিকে চিঠি দিয়ে অবহিত করেছিল ডিএসই।

ডিএসইর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, বিএসইসি থেকে দেওয়া চিঠির বিষয়বস্তু অনুসারে অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে, ডিএসই ডিজিটালভাবে তথ্য জমা ও বিতরণ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। সফ্টওয়্যারটির পাইলট অপারেশন ২০২১ সালের জুলাইয়ে শুরু হয়েছিল।

তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ ইস্যুকারীরা ডিএসইর সাথে প্রতিদিন যোগাযোগের জন্য সফ্টওয়্যারটি ব্যবহার করছেন। ডিএসই সফ্টওয়্যারটির কার্যক্রম আগামী ২০ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পূর্ণাঙ্গভাবে শুরু করতে প্রস্তুত। এ বিষয়ে বিএসইসির নির্দেশনা এবং অনুমোদন প্রয়োজন।

চলতি বছরের অক্টোবরে ডিএসই ও সিএসইকে ডেটা সংগ্রহ, ফাইলিং ও প্রচারের জন্য একটি সমন্বিত ‘ডিজিটাল সাবমিশন ও ডেসিমিনেশন প্ল্যাটফর্ম’ তৈরি করার নির্দেশ দেয় বিএসইসি। তাদেরকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে এই প্ল্যাটফর্ম চালু করার বিষয়ে বিএসইসিতে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। ইতোমধ্যে ডিএসই ও সিএসই এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিএসইসিতে দাখিল করেছে। উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ শেয়ারহোল্ডারদের রিপোর্ট,

ঘোষণা, করপোরেট অ্যাকশন, আর্থিক প্রকাশ, মূল্য-সংবেদনশীল তথ্য (পিএসআই) এবং বস্তুগত তথ্য, অভিযোগের প্রকাশনা ও প্রচারসহ তালিকাকরণ এবং ধারাবাহিক তালিকার প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য ‘ডিজিটাল সাবমিশন ও ডেসিমিনেশন প্ল্যাটফর্ম’ ব্যবহার করবে। এছাড়া, ইস্যুয়ার কোম্পানিগুলোর অন্যান্য সম্মতি এবং জমা দেওয়া তথ্য ও প্রকাশনা প্রচার করা হবে এই প্ল্যাটফর্মে।

এ বিষয়ে সম্প্রতি জারি করা বিএসইসি’র আদেশে উল্লেখ রয়েছে, স্টক এক্সচেঞ্জগুলোকে অবশ্যই মাসিক ভিত্তিতে শেয়ারহোল্ডিংয়ের বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে এবং অসঙ্গতিগুলো চিহ্নিত করতে হবে। এই প্ল্যাটফর্মে কোম্পানিগুলোর সব তথ্য সংরক্ষিত রাখতে হবে। যাতে পরবর্তী কোনো কাজে তা ব্যবহার বা যাচাই করা যায়।

তাই, উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে সমন্বিত অনলাইন ডেটা সংগ্রহ, তথ্য জমা দেওয়া এবং প্রচার প্ল্যাটফর্ম তৈরির প্রস্তুতি সম্পর্কিত সাত দিনের মধ্যে কমিশনকে তথ্য সরবরাহ করতে বলেছে। সেক্ষেত্রে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ যদি ডিজিটাল তথ্য জমা ও বিতরণ প্ল্যাটফর্ম চালু করতে প্রস্তুত থাকে, তাহলে কমিশন ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) রেগুলেশন, ২০১৫ সংশোধন করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।