শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজার তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসেস লিমিটেড তালিকাভু্ক্তির পর প্রথমবারের মতো বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। তাও আবার বড় পরিমাণে বোনাস লভ্যাংশ। কোম্পানিটি স্বল্প মূলধনি কোম্পানির তালিকা থেকে বেরোতেই এবার বড় বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এমনটাই জানিয়েছেন কোম্পানি সচিব তারেক হোসেন খান।

কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের পেইড-আপ ক্যাপিটাল ৩০ কোটির নিচে আছে। বিএসইসি থেকে একটা নির্দেশনা আছে এটা ৩০ কোটি করার। সে জন্যই বোনাস লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছে।’ ৩০ জুন, ২০২২ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সোমবার (১৭ অক্টোবর) ৩৬ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

বর্তমানে এই কোম্পানির মোট শেয়ার রয়েছে ২ কোটি ২১ লাখ এবং পরিশোধিত মূলধন ২২ কোটি ১০ লাখ টাকা। ঘোষিত ৩৬ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ যোগ হলে কোম্পানিটির শেয়ারসংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৩ কোটি ৫৬ হাজারে। এর ফলে পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা ছাড়াবে। ২০১৩ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি এর আগের পাঁচ বছর, অর্থাৎ ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রতিবছরই বিনিয়োগকারীদের ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।

৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৫৫ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৪ টাকা ৩ পয়সা। আগের বছরের তুলনায় আয় কিছুটা বাড়লেও গত মার্চে তৃতীয় প্রান্তিক শেষে যে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছিল, তার সঙ্গে তুলনা করলে বিনিয়োগকারীরা কিছুটা হতাশ হতে পারেন।

অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় দেখিয়েছিল ৪ টাকা ৩০ পয়সা। এর মধ্যে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকে ৮৬ পয়সা, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকে ২ টাকা ৪ পয়সা এবং জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে ১ টাকা ৪০ পয়সা আয় দেখায় তারা। অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তিন মাসে আয় হয়েছে সবচেয়ে কম।

কোম্পানিটির সম্পদমূল্যও কিছুটা বেড়েছে। গত জুন শেষে প্রতি শেয়ারের বিপরীতে ১২৪ টাকা ২৫ পয়সা সম্পদ দেখানো হয়েছে, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১২২ টাকা ৭০ পয়সা। এই লভ্যাংশ চূড়ান্ত করতে কোম্পানিটি বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম ডেকেছে আগামী ২১ ডিসেম্বর। এজিএমে অংশ নিতে বা লভ্যাংশ পেতে চাইলে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত শেয়ার ধরে রাখতে হবে। অর্থাৎ সেদিন হবে লভ্যাংশ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট।

গত ২৮ জুলাই ফ্লোর প্রাইস দেওয়ার পর যেসব কোম্পানির দর অনেক বেশি বেড়েছে, তার একটি এই জেএমআই সিরিঞ্জ। সেদিন শেয়ারদর ছিল ২৯২ টাকা ৩০ পয়সা। আড়াই মাসের কম সময়ে সেটি হয়ে যায় ৫০২ টাকা ৩০ পয়সা। লভ্যাংশ ঘোষণার দিন সোমবার ৩১ টাকা ৮০ পয়সা কমে হয়েছে ৪৬০ টাকা ৭০ পয়সা।