শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: এক দিনে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশও তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে রোববার থেকে কোনো কোম্পানির দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমার মতো পতনের সর্বোচ্চ সীমাও হবে ১০ শতাংশ। পুঁজিবাজারে পতন ঠেকাতে আবার প্রতিটি শেয়ারের সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইস কার্যকরের পাশাপাশি এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। যদিও দরপতনের সার্কিট ব্রেকার ২ শতাংশ উঠিয়ে দেয়ার বিষয়টি অবশ্য ফ্লোর প্রাইস ফেরানোর আদেশে নেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ফ্লোর প্রাইস দেয়ার ফলে আগের যে ২ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার ছিলো বা সর্বনিম্ন দর ২ শতাংশ কমতে পারতো সেটি বাতিল হয়েছে। ফলে রোববার থেকে এটি কার্যকর হবে। অর্থাৎ শেয়ারের দর বৃদ্ধি ১০ শতাংশ হতে পারে আবার ১০ শতাংশ স্বাভাবিক শেয়ারের দর কমতে পারে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) পুঁজিবাজারের টানা পতন ঠেকাতে আবারও শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দামের সর্বনিম্ন সীমা বা ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বিএসইসি। বিভিন্ন সময় ফ্লোর প্রাইস কার্যকরের দাবি উঠলেও না দেয়ার পক্ষে অনড় ছিল বিএসইসি। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএসইসির কাছে এর কোনো বিকল্প ছিল না বলে জানা যায়।

ঈদের পর থেকেই পতন চলছে দেশের পুঁজিবাজারে। টানা ৯ দিন পতনের পর মাত্র ২ দিন সূচকের উত্থান হলেও তা ধরে রাখতে পারেনি বাজার। যার ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থার বিভিন্ন রকম আশা দিলেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দেশের পুঁজিবাজারে। এই পরিস্থিতিতে পছন্দ না হলেও ফ্লোর প্রাইস দিতে হয়েছে বলে জানা যায়।

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আজ (২৮ জুলাই) কমে ৬ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে আছে। একই সঙ্গে এদিন লেনদেন কমেছে ৩০০ কোটি টাকার বেশি। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) এক্সচেঞ্জটির প্রধান সূচক ‘ডিএসই এক্স’ আগের দিনের তুলনায় ৫৭ পয়েন্ট কমেছে। ফলে সূচকটি ছয় হাজারের ঘর থেকে নেমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৯৮০ পয়েন্টে।

২০১৭ সালের ৩১ আগস্ট প্রথমবারের মতো ছয় হাজার পয়েন্ট স্পর্শ করেছিল ‘ডিএসই এক্স’। এরপর ২০২১ সালের ২৭ জুন সূচকটি ছয় হাজারের নিচে নামে। তিন মাসে মাথায় গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর সূচকটি সাত হাজারের মাইফলক স্পর্শ করে। আর ১০ অক্টোবর সূচকটি সর্বোচ্চ অবস্থানে যায়। সেদিন লেনদেন শেষে ‘ডিএসই এক্স’ ছিল ৭ হাজার ৩৬৭ পয়েন্টে। আজ বড় পতনের কারণে সূচকটি আবারও ছয় হাজারের নিচে নেমে এসেছে।