শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পেপার অ্যান্ড প্রিন্টিং খাতের কোম্পানি খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের আর্থিক বিবরণী পর্যালোচনা করে বিশেষ নিরিক্ষা করবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানিটি গত তিন বছর ধরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোন ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেনি। ডিভিডেন্ড ঘোষণা না করার কারণ খুঁজে বের করতে ইসলাম জাহিদ অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসকে দায়িত্ব দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

অডিট ফার্মটিকে আগামী ৩০ কাযদিবসের মধ্যে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ এবং শীর্ষ ব্যবস্থাপনার কর্মকর্তাদের মানি লন্ডারিং কার্যক্রমে জড়িত থাকার বিষয়টি তদন্ত করে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।।

অডিটর ফার্মটি আন্তর্জাতিক অ্যাকাউন্টিং মান অনুযায়ী কোম্পানিটির সম্পদ, দায় এবং ইক্যুইটি সম্পর্কে সত্য ও নিরপেক্ষ ব্যালেন্স শীট এবং আর্থিক বিবৃতির অন্যান্য অংশ পর্যালোচনা করবে। অডিট ফার্মটি কোম্পানির স্থায়ী সম্পদের পুনর্মূল্যায়নের প্রক্রিয়া, কাঁচামাল সংগ্রহ, বিক্রিত পণ্যের খরচ এবং আমদানিও পর্যায়লোচনা করে দেখবে।

কমিশন এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে খুলনা প্রিন্টিংয়ের টার্নওভার অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়ার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছিল। প্রতিবেদনে দেখা যায়, কোম্পানিটির ব্যয় সন্দেহজনকভাবে বেড়েছে। যা সঠিক নয় বলে মনে করছে বিএসইসি পযবেক্ষন টিম।

একই অর্থবছরে কোম্পানিটির ৪.৭০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। অর্থাৎ শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৬.১২ টাকা। এছাড়াও, আর্থিক বিবরণী অনুসারে এর শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১.২৩ টাকা।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে কোম্পানির নিট বিক্রয় দাঁড়িয়েছে ৫২.০৮ কোটি টাকায় যা এক বছর আগে ছিলো ১০৮.০৬ কোটি টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির নিট বিক্রয় কমেছে ৫২ শতাংশ। আদালতের নির্দেশে কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার পর গত বছরের অক্টোবরে কোম্পানিটি তাদের কারখানা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়।

৩০ জুন ২০২২ পর্যন্ত কোম্পানিটির স্পনসর এবং পরিচালকদের কাছে যৌথভাবে ৩৯.৭৬%, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২.৮১% এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫৭.৪৩% শেয়ার ছিল। এর আগে ২০১৫ সালে খুলনা প্রিন্টিং কারখানাটি বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল। কারণ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর ফাঁকির অভিযোগে তার ব্যবসায়িক শনাক্তকরণ নম্বরটি লক করে দিয়েছিল।