শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারের এসএমই প্ল্যাটফর্ম থেকে অর্থ সংগ্রহের অনুমোদন পাওয়া আছিয়া সি ফুডসের কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারের (কিউআইও) আবেদন গ্রহণ শেষ হবে আগামীকাল ২৩ জুন পর্যন্ত। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কিউআইওতে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আবেদন চলছে।

তবে হঠাৎ আছিয়া সি ফুডস ভবন নির্মাণে বেশি ব্যয় দেখিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সঠিক কি না তা খতিয়ে দেখতে কোম্পানিটির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার (২২ জুন) বিএসইসির আলোচিত বিষয়ে নিজেদের ব্যাখ্যা জমা দিয়েছে কোম্পানিটি। কোম্পানির সিএফও স্বপন কুমার সাহা শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম বলেন, আছিয়া সি ফুডস ভবন নির্মাণে বেশি ব্যয় সঠিক নয়। এ বিষয় আমরা পরিস্কার জবাব বিএসইসিতে জমা দিয়েছে। আসলে কিছু সংবাদপত্রে ভুল ভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করছে। তবে একটা বিল্ডিং একদিনে তৈরি হয় না। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরেই এই বিল্ডিংয়ে ব্যয় করা হচ্ছে। সর্বশেষ পুঁজিবাজার থেকে আইপিও উত্তোলনের মাধ্যমেও ভবন নির্মাণে ব্যয়ের কথা বলা হয়েছে।

এর মানে এই না যে, পুঁজিবাজার থেকে যে ১২ কোটি টাকা ভবন নির্মানে ব্যয়ের কথা বলা হয়েছে, সেটা বিগত বছরেই করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এখানে ব্যয় বেশি দেখানো হয় নি। যা বাস্তব, তাই দেখানো হয়েছে। এই বিষয়টি আমরা বিএসইসিকে জানিয়েছি।

জানা গেছে, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের বিকল্প পদ্ধতি কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারের (কিউআইও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করছে প্রতিষ্ঠানটি। বিএসইসি’র চিঠিতে বলা হয়েছে, ভবন তৈরিতে কারসাজি হয়েছে এমন অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে কোম্পানিটিকে ভবন নির্মাণে অস্বাভাবিক ব্যয়ের যৌক্তিকতা তুলে ধরে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়, আছিয়া সি ফুডসের ২৭ হাজার ২৩ স্কয়ার ফিটের ভবন রয়েছে। পুরাতন ভবন সত্ত্বেও এটি নির্মাণে (জমি ছাড়া) ১২ কোটি ৮ লাখ ৩৮ হাজার ৬৮১ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি স্কয়ার ফিট ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ৪৭২ টাকা। যা কোনভাবেই বাস্তবসম্মত নয়।

প্রসঙ্গত, চলতি বছর ১০ টাকা মূল্যের এক কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে এসএমই প্ল্যাটফর্মে কিউআইওর মাধ্যমে আছিয়া সি ফুডসকে ১৫ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দেয় বিএসইসি। পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের লক্ষ্যে গত ১৯ জুন থেকে আবেদন নেওয়া শুরু করেছে কোম্পানিটি।