শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: শতভাগ রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান আছিয়া সি ফুড। ১৯৯৭ সাল থেকে মিঠা পানির ও সামুদ্রিক বিভিন্ন ধরনের মাছ প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানি করছে। প্রধান পণ্য হিসেবে সামুদ্রিক মাছ এবং সাদা পানির হিমায়িত চিংড়ি মাছ রপ্তানি করে। যুক্তরাজ্য, সাইপ্রাস, জাপান, কোরিয়া, তাইওয়ান, মিশর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সামুদ্রিক মাছ রপ্তানি করা হচ্ছে বলে আছিয়া সি ফুড কোম্পানির প্রোসপেক্টাসে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যত সম্ভাবনা ও বিনিয়োগকারীর উদ্দেশ্যে আছিয়া সি ফুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিকুল ইসলাম জহির বলেন, ‘আছিয়া সি ফুড একটি রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান। এই কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বরং অন্যান্য কোম্পানির তুলনায় ভাল লাভবান হবে। এছাড়া পুঁজিবাজারে লভ্যাংশ না দেয়ার যে দুর্নাম রয়েছে তা আমরা ঘুচিয়ে মাইলফলক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করবে চাই বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, আছিয়া সি ফুডের প্রধান পণ্য হচ্ছে বিভিন্ন জাত ও আকারের সামুদ্রিক এবং সাদা পানির হিমায়িত চিংড়ি মাছ। এছাড়াও কিছুদিন যাবৎ পণ্য বৈচিত্রকরনের অংশ হিসেবে আমরা মানসম্মত বিভিন্ন সাদা মাছও রপ্তানি করছি। যুক্তরাজ্য, সাইপ্রাস, জাপান, কোরিয়া, তাইওয়ান, মিশর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমাদের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে।

সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থবছরে (২০২০-২১) কোম্পানিটির রপ্তানি আয় করেছে ১৩৭ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৮৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদের মূল্য ছিল ১৭ টাকা ০৭ পয়সা। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে প্রতিষ্ঠানটি এইচএসিসিপি, বিআরসি এবং আইএসও সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে।

এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউএস ফুড অ্যাসোসিয়েশন অনুমোদিত পেয়েছে। তবে শর্ত রয়েছে, এসএমই প্ল্যাটফর্মে লেনদেনের তারিখ থেকে পরবর্তী ৩ বছর ইস্যুয়ার কোম্পানিটি কোনো বোনাস শেয়ার ইস্যু করতে পারবে না। ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।