শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড এবং মেঘনা পেটের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সম্প্রতি দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কোম্পানি দুটি পরিদর্শন করেছে এবং এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিএসইসিতে দাখিল করেছে।

ওই প্রতিবেদনের আলোকে চার সদস‌্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত কমিটিকে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ‌্যে এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

বিএসইসির যুগ্ম পরিচালক সাইফুল ইসলামকে প্রধান করে ৪ সদস্যের গঠিত এ কমিটিকে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন: বিএসইসির উপ-পরিচালক শাহারিয়ার পারভেজ, সহকারী পরিচালক মো. মিনহাজ বিন সেলিম ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক মো. রাসেল রহমান।

তদন্ত কমিটিকে কোম্পানি দুটির কারখানা ও অফিসে গিয়ে সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। দীর্ঘদিন লোকসানে থাকা মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক ও মেঘনা পেট কোনো প্রকার ডিভিডেন্ড না দেওয়াসহ এক প্রকার অস্তিত্বহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তাই বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে বিএসইসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

২০০১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের অনুমোদিত মূলধন ৮০ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ১৬ কোটি টাকা। এর বিপরীতে কোম্পানিটিতে পুঞ্জীভূত লোকসান রয়েছে ১১১ কোটি ২৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১ কোটি ৬০ লাখ শেয়ারের মধ্যে পরিচালনা পর্ষদের কাছে রয়েছে ৫০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫০ শতাংশ।

অন্যদিকে ২০০১ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া মেঘনা পেটের অনুমোদিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ১২ কোটি টাকা। এর বিপরীতে কোম্পানিটিতে পুঞ্জীভূত লোকসান রয়েছে ১৭ কোটি ৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১ কোটি ২০ লাখ শেয়ারের মধ্যে পরিচালনা পর্ষদের কাছে রয়েছে ৫০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫০ শতাংশ।