শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বাংলাদেশের বাজারে এডহেসিভ পণ্যের নেতৃত্ব দিচ্ছে ভারতীয় কোম্পানিগুলো। বাজারের ৫৫ শতাংশ অংশীদারই বিদেশি কোম্পানির দখলে। কিন্তু এই বাজারে ২০ শতাংশ অংশীদারিত্ব রয়েছে স্টার এডহেসিভ।

এই অংশীদারিত্ব বাড়ানোর জন্যই পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করার জন্য কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসছে স্টার এডহেসিভস লিমিটেড। কোম্পানিটি তার ব্যবসা সম্প্রসারণে পুঁজিবাজার থেকে ৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করছে।

স্টার এডহেসিভ ইম্পোর্ট সাবস্টিটিউট (আমদানি বিকল্প) বিভিন্ন ধরনের এডহেসিভস ও দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছে। স্টার বন্ড ও গাম কিং ব্র্যান্ডের রাবার এবং রেজিন এডহেসিভস বাংলাদেশের মার্কেটে সুদৃঢ় অবস্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এই পণ্যগুলি সাধারণত ফার্নিচার ইন্ডাস্ট্রি, সু ইন্ডাস্ট্রিসহ ও হাউজহোল্ড কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে।

বর্তমানে বাংলাদেশে এডহেসিভ পণ্যের বাজারের আকার প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে স্টার এডহেসিভের প্রায় ২০ শতাংশ অংশীদারিত্ব রয়েছে। এই বাজারে দেশী-বিদেশী আরোও অনেক প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করছে। এর মধ্যে কয়েকটি বহুজাতিক কোম্পানিও রয়েছে। এদের সাথে প্রতিযোগিতা করেই নিজের অবস্থান আরও শক্তিশালী করছে স্টার অ্যাডহেসিভ। দেশে বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানি এডহেসিভ ব্যবসায়ে মনোযোগী হওয়ায় এই ব্যবসার দ্বার প্রশস্ত হওয়ার পাশাপাশি বৈদেশিক পণ্যের উপর থেকে নির্ভরতা কমছে।

ভবিষ্যৎ ব্যবসার সম্ভাবনা বেশি থাকা স্টার অ্যাডহেসিভে ৩০ জুন ২০১৭ সালের বার্ষিক আয় করেছে ১৭.৭৫ কোটি টাকা, ২০১৮ সালের ২৩.৪৯ কোটি টাকা, ২০১৯ সালে ৩৭ কোটি টাকা, জুন ২০২০ করোনা মহামারির মধ্যেও কোম্পানিটি আয় করেছে ২৫.৩২ কোটি টাকা। সর্বশেষ করোনা মহামারি কাটিয়ে কোম্পানিটির ব্যবসা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির আয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪১.২৪ কোটি টাকা।

স্টার এডহেসিভস বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার অঙ্গীকার নিয়েই পুঁজিবাজারে পদার্পণ করতে যাচ্ছে। যার প্রতিফলন ইতোমধ্যে কোম্পানিটি দিতে সক্ষম হয়েছে। সমাপ্ত অর্থবছরে ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি।