শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ১১ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।ফলে হতাশ হয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এর মধ্যে আরামিট সিমেন্ট মুনাফা থাকা স্বত্বে লভ্যাংশ না দেওয়ার কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এছাড়া ওটিসি মুন্নু ফেব্রেক্সি, ম্যাক পেপার ও ম্যাক এন্টারপ্রাইজ নো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করছে।

মুন্নু ফেব্রিক্স: দীর্ঘদিন ওটিসি থাকার পর চলতি বছরে মূল মার্কেটে আসে মুন্নু ফেব্রিক্স। আসার পর থেকেই শেয়ার নিয়ে চলে টানাহেচড়া। এক পর্যায়ে জুন মাসের ৩০ তারিখ সর্বোচ্চ ৩৩ টাকা ৯০ পয়সা উঠে কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের দর। এর পর আবার কমতে শুরু করে। ২৮ অক্টোবর এটির লেনদেন হয় ২৫ টাকা ৪০ পয়সায়। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬ পয়সা। আগের বছর আয় ছিল ১১ পয়সা। তবে কোম্পানিটির পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আজিজ পাইপ: প্রকৌশল খাতের কোম্পানিটি মুনাফা থেকে লোকসানে পড়ে লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবার কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৮২ পয়সা৷ গত বছর শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল ২৬ পয়সা।

জাহিন টেক্সটাইল: বস্ত্র খাতের কোম্পানি টানা তৃতীয় বছরের মতো শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সদ্য সমাপ্ত হওয়া হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩ টাকা ১ পয়সা। আগের বছর লোকসান ছিল ৩ টাকা ৭৭ পয়সা।

ফাইন ফুড: ২০১৬ সাল থেকে শেয়ার প্রতি ১০ থেকে সর্বোচ্চ ২০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়া কোম্পানিটি এবার লোকসানে যাওয়ার পর নো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটি ১১.৩ পয়সা লোকসান দিয়েছে। আগের বছর মুনাফা ছিল ১৮ পয়সা।

খান ব্রাদার্স: আগের বছর লোকসানে থাকার পরও নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা বিবিধ খাতের কোম্পানি খান ব্রাদার্স এবারও লোকসানের কারণে লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটির লোকসান ছিল ৯ পয়সা। ওই বছর ২ শতাংশ নগদ, অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ২০ পয়সা লভ্যাংশ পেয়েছিলেন বিনিয়োগকারীরা।

ইয়াকিন পলিমার: মুনাফা থেকে লোকসানিতে পরিণত হওয়া এই কোম্পানিটি এবার লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটি গত বছরের জুলাই থেকে চলতি জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ৫৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ পয়সা।

অলটেক্ম ইন্ডাস্ট্রিজ: লোকসানি এই কোম্পানিটি এবারও বিনিয়োগকারীদেরকে হতাশ করেছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি ৫ টাকা ৮ পয়সা লোকসান দিয়েছে কোম্পানিটি। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ১০ টাকা ৩১ পয়সা।

আইএসএন: এই কোম্পানিটি বিপুল পরিমাণ লোকসান দেয়ার পর লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি কোম্পানিটি লোকসান দিয়েছে ৮ টাকা ৪৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল ১৮ পয়সা।

আরামিট সিমেন্ট: ২০১৬ সালের পর প্রথমবারের মতো মুনাফা করতে পারলেও এবারও বিনিয়োগকারীদেরকে লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট কোম্পানি অরামিট। লভ্যাংশ না পেলেও শেয়ার প্রতি ৬০ পয়সা আয় করতে পারাটাই এই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা কিছুটা হলেও স্বস্তিতে পেতে পারেন। এর আগে ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত টানা চার বছর লোকসান দিয়েছিল কোম্পানিটি।

ম্যাক পেপার: ম্যাক পেপার সমাপ্ত অর্থবছর নো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করছে। মুনাফা থাকা স্বত্বেও কোম্পানিটি নো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে।

ম্যাক এন্টারপ্রাইজ: ম্যাক এন্টারপ্রাইজ সমাপ্ত অর্থবছর নো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করছে। যদি ও কোম্পানির সমাপ্ত অর্থবছরে ২ পয়সা আয় হয়েছে।