শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারের সুশাসন প্রতিষ্ঠান স্টক এক্সচেঞ্জের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। বিশেষ করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনেই ওটিসির চার কোম্পানির শেয়ারে কারসাজি হচ্ছে। পৃথিবীর সব দেশেই শেয়ারবাজারে কারসাজির বিরুদ্ধে স্টকএক্সচেঞ্জ সবার আগে ব্যবস্থা নেয়।

আমাদের দেশে কিন্তু এর উল্টে নয়, তবে ওটিসির চার কোম্পানির তদন্ত কমিটি গঠন করলে কারসাজিরা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়েছে। কোম্পানিগুলো হচ্ছে: তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস, বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং এবং মুন্নু ফেব্রিকস।

মূল মার্কেটে লেনদেন শুরু করার পর থেকেই অস্বাভাবিক হারে বেড়েই চলেছে এসব কোম্পানির দর। যে কারণে এসব কোম্পানির শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির বিষয় খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দেশের প্রধান স্টক এক্সচেঞ্জ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) এই নির্দেশ দেয়া হয়। বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, নির্দেশনার পরদিন শেয়ার দর কমলেও গত ২ কার্যদিবস ধরে আবারও বেড়েছে কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর। আজ এ চারটি কোম্পানিরই দর বেড়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে পপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের। আজ এ কোম্পানির দর ৭ টাকা ৩০ পয়সা বা ৩.৩৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৫ টাকা ৩০ পয়সায়।

এরপর দর বেড়েছে তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের। আজ এ কোম্পানির শেয়ার দর ৫ টাকা ৪০ পয়সা বা ৩.০৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৪ টাকা ৫০ পয়সা। আজ বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের দর ৩ টাকা ৯০ পয়সা বা ১.৭৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৯ টাকা ৫০ পয়সায়। আজ মুন্নু ফেব্রিকসের দর ৪০ পয়সা বা ১.৩৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ৯০ পয়সায়।

বিএসইসির নির্দেশনায় মূল্য বৃদ্ধির কারণের খতিয়ে দেখার পাশাপাশি কোম্পানি ৪টির প্রকৃত অবস্থা পর্যালোচনা করতে বলা হয়েছে ডিএসইকে। আগামী ২০ কার্যদিবসের মধ্যে বিএসইসির কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য ডিএসইকে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, মূল মার্কেটে ফেরার পর আলোচিত কোম্পানি ৪টির শেয়ারের মূল্য অনেক বেড়েছে। এতটা মূল্য বৃদ্ধি স্বাভাবিক নয় বলে মনে হচ্ছে। তাই বিনিয়োগকারী ও বাজারের স্বার্থে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ডিএসইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।