শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: মার্জিন ঋণের সীমা বাড়ানোর খবরে পুঁজিবাজারে সূচকের বড় উত্থান হয়েছে। লকডাউনের খবরে রবিবার পুঁজিবাজারে বড় পতন হলেও সোমবার মার্জিন ঋণের খবরে উত্থানে হয়েছে বিশ্লেষকরা মনে করেন। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮৮.৪৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৭৭.৪৮ পয়েন্টে।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, মার্জিন ঋণের সীমা বাড়ানোর খবরে বিনিয়োগকারীদের কিছুটা হলেও আতঙ্ক কাটছে। বিনিয়োগকারী ও বাজারের স্বার্থে মার্জিন ঋণের সীমা বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা ফোর্সড সেল ঝক্কি এড়াতে পারবেন। অন্যদিকে অনেকের বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়বে। এটি বাজারকে স্থিতিশীল হতে কিছুটা হলেও সহায়তা করবে।

বিনিয়োগকারীদের নিজস্ব বিনিয়োগের বিপরীতে মার্জিন ঋণ প্রদানের রেশিও ১:০.৫০ থেকে বাড়িয়ে ১:০.৮০ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এই নির্দেশনা ডিএসইএক্স ৭০০০ পর্যন্ত কার্যকর। এর উপরে বা বেশি সূচকের ক্ষেত্রে মার্জিন ঋণ রেশিও হবে ১:০.৫০।

পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক বলেন, মার্জিন ঋণের সীমা বাড়ানোর খবরে পুঁজিবাজারে সূচকের বড় উত্থান হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার এ সিদ্ধান্ত পুঁজিবাজারে স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করবে। তেমনি লেনদেন বাড়বে। বিএসইসির এই সিদ্ধান্তের ফলে ফোর্সড সেল নিয়ে যে শঙ্কা তৈরী হয়েছে, তা লাঘব হবে বলে ধারনা করছেন তিনি।

কারন এরইমধ্যে লকডাউনের কারনে শেয়ারবাজারে বড় পতন হয়েছে এবং চলমান রয়েছে। যাতে করে অনেকের সিকিউরিটিজ ফোর্সড সেলের দ্ধারপ্রান্তে চলে গেছে। এমতাবস্থায় কমিশনের মার্জিন ঋণের নতুন রেশিওর সিদ্ধান্তের ফলে তা লাঘবের আশা করছেন তিনি।

এদিন পুঁজিবাজারের সব সূচক বেড়েছে। একই সাথে বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। জানা গেছে, আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮৮.৪৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৭৭.৪৮ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৬.৫৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪৩.৫৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১৮২.৭২ পয়েন্টে এবং ১৯৪৪.৬৫ পয়েন্টে।

আজ ডিএসইতে ২৩৬ কোটি ৬০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ২৮৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫২১ কোটি ১৭ লাখ টাকার। ডিএসইতে আজ ৩২১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ২৩১টির বা ৭১.৯৬ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ১৪টির বা ৪.৩৬ শতাংশের এবং ৭৬টির বা ২৩.৬৮ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।