শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের বিশেষ নিরীক্ষা প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় বৃদ্ধির আবেদন করেছে হাওলাদার ইউনূস অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস। গত ১০ নভেম্বর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) এ আবেদন করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সুত্র জানায়, কোম্পানিটির স্পেশাল অডিট রিপোর্ট ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু হাওলাদার ইউনূস অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে না পারায় সময় বৃদ্ধির আবেদন করে।প্রতিষ্ঠানটি সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের ৩০ জুন ২০১৯ এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সময়ের আর্থিক প্রতিবেদন নিরীক্ষা করার জন্য নিয়োগ দিয়েছে বিএসইসি।

বিএসইসি সুত্র মতে জানা গেছে , এর আগে শেয়ারহোল্ডারদেরকে সম্পূর্ন লভ্যাংশ না দিয়েই কমিশনকে কম্প্লায়েন্স রিপোর্ট জমা দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। পরবর্তীতে শেয়ারহোল্ডারদের অভিযোগের ভিত্তিতে কমিশন এ সিদ্ধান্ত নেয়। পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সব পরিচালকদের বিও হিসাব জব্দ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। লভ্যাংশ বিতরণে জালিয়াতি করার অপরাধে পরিচালকদের বিও হিসাব জব্দ করাসহ তিনটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

কোম্পানিটি তার সব শেয়ারহোল্ডারের প্রাপ্য নগদ লভ্যাংশের অর্থ বিতরণ না করেও বিএসইসির কাছে বিতরণ সমাপ্ত মর্মে মিথ্যা তথ্যপূর্ণ প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল।সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল।

গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এটি অনুমোদিত হয়। বিধি অনুসারে, এজিএম অনুষ্ঠানের পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে লভ্যাংশ বিতরণ সম্পন্ন করতে হয়। আর লভ্যাংশ বিতরণ সংক্রান্ত কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট জমা দিতে হয় বিএসইসির কাছে।

সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড সব শেয়ারহোল্ডারকে লভ্যাংশ না দিয়েই এজিএম অনুষ্ঠানের (২৯ জানুয়ারী,২০২০) তারিখে বিএসইসির জমা দেওয়া কমপ্লায়েন্স রিপোর্টে দাবি করে তারা সকল বিনিয়োগকারীর মধ্যে লভ্যাংশ বিতরণ করেছে। কিন্তু পরবর্তীতে বেশ কিছু বিনিয়োগকারী লভ্যাংশ পাননি বলে ডিএসই ও বিএসইসির কাছে অভিযোগ করলে কোম্পানিটির জালিয়াতি ফাঁস হয়ে পড়ে। এর প্রেক্ষিতে বিএসইসি কোম্পানিটির বিষয়ে তিনটি সিদ্ধান্ত নেয়। তিনটি সিদ্ধান্ত হলো:

০১. পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কোম্পানির সব পরিচালকদের বিও হিসাব জব্দ থাকবে। তারা এই হিসাবে কোনো শেয়ার কেনাবেচা করতে পারবেন না। সুহৃদের কোনো শেয়ার উপহার দেওয়া, হস্তান্তর করা বা ব্যাংকে জামানত রেখে ঋণ নিতে পারবেন না।

০২. কোম্পানি আর্থিক প্রতিবেদন নিয়ে বিশেষ নিরীক্ষা (Special Audit) করা হবে। ০৩. ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সরজমিন পরিদর্শন করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করবে। যা আগামী ৭ দিনের মধ্যে কমিশনে জমা দিতে হবে।