ষ্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ফ্লোর প্রাইস নিয়ে ভুল বুঝাবুঝির অবকাশ নেই। সাধারন বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্যই ফ্লোর প্রাইজ নির্ধারন করা হয়েছে। ফ্লোর প্রাইজ না থাকলে সাধারন বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

তাই মার্কেট যখন স্বাভাবিক হবে, সুস্থ হবে তখন ফ্লোর প্রাইজের বিষয় চিন্তা করা হবে। মার্কেট যখন উঠতির দিকে থাকবে, ডিমান্ড সাইড শক্তিশালী হলে ফ্লোর প্রাইজের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পুঁজিবাজার টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাথে বেশ কিছু প্রস্তাবের সাথে একমত পোষন করে দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ফ্লোর প্রাইস থাকছে, মার্জিন লোনের সুদের হার কমানো ও ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের আইপিও কোটা বাড়ানোর সাথে একমত পোষন করেন তিনি।

সম্প্রতি তালিকাভুক্ত কয়েকটি কোম্পানিকে জরিমানার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, একটি কোম্পানি ব্যাংকের স্টেটমেন্ট জালিয়াতি করেছে।বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্যই এই জরিমানা করা হয়েছে।বাকি যেসব কোম্পানিগুলোকে জরিমানা করা হয়েছে সবগুলোর অপরাধ বিএসইসির সার্ভাইল্যান্স সিস্টেসমে প্রমানিত হয়েছে। এর মাধ্যমে সাধারন বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।ভবিষ্যতে যেন কেউ এধরনের অপরাধে না জড়ায়, সে জন্যই এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে শেয়ারের দর বাড়া কমা নিয়ে বিএসইসি হস্তক্ষোপ করবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এদিকে পুঁজিবাজার টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন বিএসইসির চেয়ারম্যানের কাছে বেশ কিছু প্রস্তাব রাখেন। প্রস্তাব সমুহ হলো: বিদেশী বিনিয়োগকারীদের শেয়ার সেলে একটি লকইন করে দেয়া হোক। একদিনে কোন ফরেন সেলার ১০ শতাংশের বেশি সেল করতে না দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ।

ফ্লোর প্রাইস ৯৮ শতাংশ বিনিয়োগকারীদের রক্ষা করছে। মাত্র ২ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে কি বার্তা গেল তা না দেখে ৯৮ শতাংশ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ দেখার অনুরোধ। পুঁজিবাজার স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত নামিদামি এবং বিদেশী কোম্পানি ছাড়া আইপিও অনুমোদন না দেওয়া।

বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনাবেচা করতে দেওয়া। শেয়ারের দাম বাড়লেই তদন্তের নামে হয়রানি না করা। তবে কেউ অন্যায় করলে শাস্তির আওতায় আনা , তেমনি তদন্ত কমিটি না করে মনিটরিং সেল থেকে অপরাধীকে খুঁজে বের করা। ব্যাংকের সুদের হার ৯ শতাংশ কিন্তু মার্জিন লোনের সুদের হার ১৫ থেকে ১৯ শতাংশ। মার্জিন সুদের হারের সীমা নির্ধারন করে দিতে হবে।