শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় পুঁজিবাজার দরপতনের রাস্তা বন্ধ করল বিএসইসি। পতন ঠেকাতে সার্কিট ব্রেকারে বড় পরিবর্তন আনলো বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)। এই নিদের্শনায় সূচকের পতন অনেকটাই বন্ধ হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার বিএসইসি এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে।

বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আজ থেকে যেকোন কোম্পানির শেয়ার লেনদেন শুরু হবে সর্বশেষ ৫ কার্যদিবসের গড় দর দিয়ে। আর ওই দরের নিচে শেয়ারের দাম নামতে পারবে না। তবে দাম বাড়ার সীমা অপরিবর্তিত থাকবে। বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ি, গ্রামীণফোনের বুধবার লেনদেন শেষে শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ২১৯.৫০ টাকায়।

তবে সর্বশেষ ৫ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারের ওয়েটেড গড় ক্লোজিং দর দাড়াঁয় ২৩৫.৭০ টাকায়। এ হিসাবে শেয়ারটি লেনদেন শুরু হবে ২৩৫.৭০ টাকায়। কিন্তু ডিএসইর কারিগরি কারনে যেকোন কোম্পানির শেয়ার দরে উত্থান-পতনের সীমা ঠিক করে দিতে হয়।

তাই গ্রামীণফোনের শেয়ারে কমপক্ষে ০.১ শতাংশ পতনের সীমা দিতে হবে। ফলে শেয়ারটি ২৩৫.৫০ টাকায় লেনদেন হওয়ার সুযোগ থাকবে। একইসঙ্গে শেয়ারটির দর আগামিতে ২৩৫.৫০ টাকার নিচে নামতে পারবে না। তবে আগের সার্কিট ব্রেকার অনুযায়ি দর বাড়তে পারবে।

নির্দেশনা অনুযায়ি, লেনদেন শুরুর আগেই গ্রামীণফানের শেয়ার দর আজ ১৬.২০ টাকা বা ৭.৩৮ শতাংশ বেড়ে দাড়াচ্ছে ২৩৫.৭০ টাকা। গ্রামীণফোনের মতো দেশের প্রায় সব কোম্পানির শেয়ারের চিত্র প্রায় একইরকম। যাতে লেনদেন শুরুর আগেই প্রায় সব কোম্পানির শেয়ার দরে উত্থান হবে। ফলে মূল্যসূচকে বড় উত্থান ঘটবে। একইসঙ্গে ডিএসইর আজকের ৩৬০৪ পয়েন্টের নিচে যাওয়ার পথ বন্ধ হয়েছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এক সুযোগেই শেয়ার দর আকাশচুম্বী হয়ে গেছে। গত ৫ কার্যদিবসের ক্লোজিং গড় মূল্য ওপেন প্রাইস হিসেবে নির্ধারণ, এই মূল্যই ফ্লোর এবং সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় আজ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে মাত্র আধা ঘন্টার লেনদেনেই সূচক বেড়েছে ৩৭১ পয়েন্ট। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের বড় উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে।

আজ লেনদেনের শুরু থেকেই ক্রয় প্রেসারে টানা বাড়তে থাকে সূচক। এরই ধারাবাহিকতায় টানা ৪ কার্যদিবসে পতনের পর উত্থানে ফিরেছে বাজার। বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে কোম্পানির শেয়ার দর। আজ দিন শেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৭১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৩৯৭৪ পয়েন্টে।

আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৮৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৯১৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ১২২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৩২৫ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৪২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৪১টির, কমেছে ৪৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫২টির। আর দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ৪৯ কোটি ১২ লাখ ১৬ হাজার টাকা।