গত তিন বছরে আইপিওর শেয়ার অধিকাংশই জং ধরা
আবু আহমেদ: অনেকেই শেয়ারবাজারের বর্তমান মন্দাবস্থায় হতাশ। তাদের একটাই জিজ্ঞাসা, কবে এই মন্দাভাবের অবসান হবে। শেয়ারবাজারের বর্তমান মন্দাবস্থা বাহ্যিক কোনো কারণ দ্বারা ব্যাখ্যা করা যাবে না। এর একটা ভালো ব্যাখ্যা আসতে পারে কেবল আমরা যদি অর্থনীতি শাস্ত্রের জ্ঞানগুলোকে সামগ্রিকভাবে প্রয়োগ করি।
অনেক শিক্ষিত লোক জিজ্ঞেস করেন, যেখানে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হচ্ছে বছরে সাড়ে ৬ শতাংশের উপরে, সেখানে শেয়ারবাজারে কেন অব্যাহত মূল্যপতন ঘটছে? তাদের এ প্রশ্নের মধ্যে অনেক যুক্তি আছে। জাতীয় আয়ের প্রবৃদ্ধি বাড়লে শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বেশি মুনাফা অর্জনের কথা। বেশি মুনাফা করলে বেশি মুনাফা শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। সুতরাং শেয়ারের মূল্য না কমে বরং বৃদ্ধি পাওয়া উচিত।
এই একই বিষয়কে অন্যভাবেও ব্যাখ্যা করা যায়। তা হলো, ব্যবসা-বিনিয়োগ বাড়ছে বলেই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও বাড়ছে। তা না হলে তো প্রবৃদ্ধি হাওয়া থেকে আসতে পারে না। তাহলে কি বিষয়টি এমনই যে, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না, কিন্তু অন্য কোম্পানির বিনিয়োগ ও ব্যবসা ভালো যাচ্ছে বলেই জাতীয় প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। এটাও হতে পারে না।
কারণ আমাদের শেয়ারবাজার যদিও অর্থনীতির একটা ছোট অংশ, তবুও এখানে যেসব ব্যবসা-কোম্পানি তালিকাভুক্ত আছে, সেগুলোর প্রবৃদ্ধি বাদে শুধু অন্যত্র প্রবৃদ্ধি বেশি হচ্ছে বলেই জাতীয় অর্থনীতির গতি ত্বরান্বিত হচ্ছে— এটা গ্রহণ করা যায় না।
অর্থনীতিতে প্রত্যেকটি অর্থনৈতিক এককই একে অন্যের সঙ্গে সংযুক্ত। সেগুলো কখনো সহযোগী, কখনো প্রতিযোগী। এক অর্থে অর্থনীতির প্রতিটি ব্যবসা, প্রতিটি খাত একে অন্যের সঙ্গে যুক্ত। সুতরাং খরা দেখা দিলে সব ব্যবসায়ই খরা লাগার কথা, শুধু শেয়ারবাজারে সেই খরা লাগবে কেন? শেয়ারবাজার হলো স্পেকুলেটিভ মার্কেট। স্পেকুলেটিভ মার্কেটকে কেউ ফটকা বাজার বললে সেটা যথার্থ হয় বলে মনে হয় না। বস্তুত প্রত্যেকটি অ্যাসেট মার্কেটই স্পেকুলেটিভ মার্কেট।
স্পেকুলেশন বাজারের ড্রাইভিং ফোর্স হিসেবে কাজ করে। সম্পূর্ণ স্পেকুলেশনবিহীন বাজার হবে এক মূল্যের বাজার। ওই বাজারে বর্তমানই সব, ভবিষ্যত্ বলতে কিছু থাকবে না। স্পেকুলেশন, ভাবনা, ভবিষ্যতের চিন্তা, অন্যদের মন জানা, অন্যদের অবস্থান সম্পর্কে ধারণা করা হলো অ্যাসেট মার্কেটের প্লেয়ারদের বড় কাজ। ভবিষ্যতে কী ঘটতে পারে— এ জল্পনাই বাজারকে উপরে নেয় আর নিচে নামায়।
তাই অ্যাসেট মার্কেটে শুধু বর্তমান বিক্রয় হয় না, ভবিষ্যত্ও বিক্রয় হয়। সেই বিক্রয়কে বৈধতা দেয়ার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা অনেক আইন ও রুলস তৈরি করে। আমাদের শেয়ারবাজারে ফিউচারস বেচাকেনা বন্ধ। ডেরিভেটিভস চালু হলে অ্যাসেট তথা ফিউচারস ক্রয়-বিক্রয় হবে। তবে এ মুহূর্তে আমাদের বাজার বর্তমান স্টক প্রাইজ নিয়েই ব্যস্ত। অন্য যে বিষয় মূল্যপতনের কারণ হিসেবে অনুসন্ধান করা যেতে পারে তা হলো, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মুনাফা বণ্টনের হার আগের তুলনায় কমেছে কিনা।
এজন্য ছোট একটা গবেষণা দরকার। তবে আমাদের দেখামতে, বণ্টনকৃত মুনাফার হার কমেনি, বরং বেড়েছে। তাহলেও মূল্য পড়ছে কেন? মূল্যপতনের জন্য অন্য কারণ অনুসন্ধান করা যেতে পারে। সেটা হলো, বিনিয়োগ রিটার্নের পার্থক্য, এ ক্ষেত্র থেকে এবং অন্য ক্ষেত্র থেকে। কিন্তু একটি বিষয় লক্ষ করা গেছে, বিশ্বব্যাপী স্টক মার্কেটের লোকেরা কদাচিত্ অন্য মার্কেটে যায় বেশি বিনিয়োগের আশায়। অন্য দেশে যারা হেজ ফান্ডস ম্যানেজ করে, তাদের বিনিয়োগের ক্ষেত্র অনেক বিস্তৃত।
তারা স্টক মার্কেট থেকে শুরু করে গোল্ড মার্কেট, ফরেন কারেন্সি মার্কেট, তেলের মার্কেট, শস্য মার্কেট প্রভৃতিতে বিনিয়োগ করে বেশি লাভের আশায়। আমাদের অর্থনীতিতে গোল্ড মার্কেট বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত এবং উন্মুক্ত নয়। এ বাজার আজ পর্যন্ত কেন বাংলাদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হলো না, তা আমার অর্জিত বিদ্যা দ্বারা বুঝতে অক্ষম। বাংলাদেশে ফরমাল কোনো কমোডিটি মার্কেট নেই। শেয়ারবাজারের লোকেরা সুযোগ পেলে ওই বাজারের ফিউচারস কিনবে।
আর তেলের বাজার তো সরকারি নিয়ন্ত্রণে। বিভিন্ন মূল্যে সরকার পেট্রোলিয়াম প্রডাক্ট কিনে বিক্রয় করে প্রায় এক মূল্যে। ব্যক্তি খাতের কিছু অংশগ্রহণ আছে। এতে খুচরা ব্যক্তিদের তেলের বাজারে বিনিয়োগ করার কোনো সুযোগ নেই। তবে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা সুদের বাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। সুদের হার অনেকটা বাজার নির্ধারণ করে, যদিও ব্যাংকগুলোর কার্টেল এক্ষেত্রেও মূল ভূমিকা পালন করে।
অনেক বছর আগে থেকেই অর্থনীতির ছাত্রদের পড়ানো হয়, সুদের হার বাড়লে বন্ডের মূল্য কমবে। এবং সুদের হার বাড়লে শেয়ারবাজারেও মূল্য পড়তে পারে। অর্থাত্ সুদের হার বেড়ে গেলে লোকে বর্ধিত লাভের আশায় শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সরিয়ে এনে সুদের বাজারে বিনিয়োগ করবে। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে অবস্থাটা কী? এক্ষেত্রে আমরা যা দেখছি, গত এক বছর থেকে সুদের হার কমছে। সেসঙ্গে অর্থ খাটানোর অন্য বিকল্প হাতিয়ার সরকারি সঞ্চয়পত্রের সুদের হারও কমছে।
তাহলে তত্ত্ব অনুসরণকারীদেরও তো সুদের বাজার থেকে অর্থ মুক্ত করে শেয়ারবাজারে বেশি করে বিনিয়োগ করার কথা। কিন্তু বাস্তবে তাই কি ঘটছে? যদি ঘটেই থাকে, তাহলে শেয়ারের মূল্য পড়ছে কেন? অন্য কী কারণ থাকতে পারে শেয়ারের মূল্যপতনের পেছনে? তাহলে কি বিনিয়োগকারীরা আগের তুলনায় বেশি মুনাফা চাইছে? বেশি মুনাফা বা বেশি ইল্ড রেট চাইলে তো তাদেরকে কম মূল্যেই শেয়ার কিনতে হবে।
কিন্তু হঠাত্ তারা বেশি মুনাফা চাইছে কেন? এমন না তো যে অর্থনীতিতে অনেক বেশি মূল্যস্ফীতি হচ্ছে, যা পোষাতে গিয়ে তারা বেশি ইল্ড রেট বা বিনিয়োগের ওপর শতকরা হিসাবে বেশি মুনাফা চাইছে। আবার এমন অবস্থাও হয়নি যে আমাদের মুদ্রা ইউএস ডলারের বিপরীতে বিনিময় মার্কেটে পড়ে যাচ্ছে।
ফলে বিদেশীরা তাদের হাতে থাকা শেয়ার বেচে সময় থাকতে বেশি ডলার নিয়ে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার ত্যাগ করতে চাইছে। আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকগুলো আমাদের সঙ্গেই আছে, শুধু শক্তি খাতের বিনিয়োগ ছাড়া। তাহলে শেয়ারবাজারে মন্দাবস্থা অব্যাহত থাকবে কেন?
মন্দা অব্যাহত থাকার পেছনে নিশ্চয়ই অন্য কারণ আছে যে কারণগুলোকে সরকারের উচ্চমহল থেকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে না। কোনো বাজারে কোনো পণ্যের বা সেবার মূল্য কখন পড়ে? সহজ উত্তর হলো, হয় পণ্য বা সেবার সরবরাহ বেড়ে গেলে নতুবা অন্য কোনো কারণে ওই পণ্য বা সেবা কেনার পেছনে অর্থ সরবরাহ কমে গেলে। সামগ্রিকভাবে বাজারের পতনের ক্ষেত্রেও একই কারণ প্রযোজ্য। বাজারের সার্বিক পতন তখনই ঘটে, যখন বাজার থেকে অর্থের বহির্গমন অব্যাহত থাকে।
অন্য কথায়, বাজার যখন অর্থ হারায় বা তার থেকে কম অর্থ লাভ করে, তখন বাজারে নিম্নগতি লক্ষ করা যেতে বাধ্য। অর্থের বড় রকমের বহির্গমন না ঘটলেও বাজার পড়তে পারে, যদি শেয়ারবাজারে চাহিদার চেয়ে শেয়ারের সরবরাহ বেশি বাড়ে। বিষয়টি চাহিদা সরবরাহের। চাহিদা বৃদ্ধির ব্যাপারটা অর্থের বর্ধিত জোগানের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়। কিন্তু অর্থের বর্ধিত জোগান যদি অর্থের বর্ধিত বহির্গমনের পেছনে পড়ে যায়, তাহলে তো বাজারমূল্য পড়বেই।
আমাদের শেয়ারবাজারের ক্ষেত্রে ঠিক তা-ই হচ্ছে। মিউচুয়াল ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মাধ্যমে যত অর্থ বাজারে নতুন করে প্রবেশ করেছে, তার থেকে বেশি অর্থ এ বাজার থেকে বের হয়ে গেছে। প্রথম প্রথম বাজার পড়তিকে অনেকে বলত, বাজার শুদ্ধ হচ্ছে। আর এখন সেই ব্যাখ্যাও অচল। এখন যখন শেয়ারবাজারের মূল্যসূচক বৃদ্ধির পেছনে সব যুক্তি কাজ করার কথা, তখনো বাজার পড়ছে কেন? এই কেন-এর উত্তরটা গভীরভাবে নীতিনির্ধারকরা খুঁজতে চায়নি।
তারা বাজার পড়লে আফসোস করে, কিন্তু ভাসা ভাসা জ্ঞানের ভিত্তিতে কারণ খুঁজতে চেষ্টা করে। একটা প্রশ্ন সবার জন্য করতে চাই। তা হলো, গত তিন বছরে আইপিও, বোনাস শেয়ার বিক্রয় এবং মার্জারপূর্বক অতিরিক্ত শেয়ার ইস্যু করে উদ্যোক্তা কর্তৃক সেই শেয়ার বিক্রয়ের মাধ্যমে বাজার থেকে কী পরিমাণ অর্থ বের হয়ে গেছে, তার কি হিসাব কারো কাছে আছে? ব্যাংকিং সেক্টরের বোনাস শেয়ার ইস্যু করার একটা যুক্তি আছে বটে।
কারণ ব্যাসেল-২ ও ব্যাসেল-৩-এর শর্তাবলি মানতে হলে ব্যাংকগুলোকে টায়ার ওয়ান ক্যাপিটাল বাড়াতে হবে। কিন্তু বাজারে নতুন আসা টেক্সটাইল কোম্পানিগুলোকে কেন এত বোনাস শেয়ার ইস্যু করতে হবে? এসব কোম্পানির কি ব্যবসা এতই বেড়ে যাচ্ছে যে, তাদের ইক্যুইটি ক্যাপিটালকে আইপিও ইস্যুর মাধ্যমে এক বছরের মধ্যে বাড়াতে হবে। আসল উদ্দেশ্য অন্যটা। সেটা হলো, উদ্যোক্তা কর্তৃক বোনাস হিসেবে প্রাপ্ত শেয়ারগুলোকে বিক্রয় করা।
গত তিন বছরে উদ্যোক্তারা কত শ কোটি টাকার বোনাস শেয়ার বিক্রি করে বাজার থেকে অর্থ বাইরে নিয়ে গেছে, তার কি কোনো হিসাব কর্তৃপক্ষের কাছে আছে? তাহলে কর্তৃপক্ষ কি একটা ভুল করছে না অবাধে বোনাস শেয়ার ইস্যু করার অনুমতি দিয়ে এবং সেই শেয়ারকে আবার বাজারে বিক্রি করতে দিয়ে? কর্তৃপক্ষের নির্লিপ্ততার সুযোগ কিছু চালাক উদ্যোক্তা ঠিকই গ্রহণ করে চলেছে।
একবার তারা উচ্চমূল্যে আইপিও ছেড়েছে, এর পর বোনাস শেয়ারের নামে লাখ লাখ কাগুজে শেয়ার সৃষ্টি করে সেগুলোকে বাজারে বিক্রি করে শুধু তারাই ধনী হয়েছে। ধনী হওয়ার এই সহজ পথ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদেরকে প্রতারণার এই কথিত অনুমোদিত পথ যত দিন বিএসইসি বন্ধ না করবে, তত দিনই শেয়ারবাজারের এ অবস্থা চলতে থাকবে। কারণ হলো, এই পথে অনেক বেশি অর্থ বাজার থেকে বের হয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, বোনাস শেয়ার বিক্রি থেকে লব্ধ অর্থ কোম্পানির ব্যবসার কোনো কাজে আসে না। ওই অর্থ ব্যক্তির হিসাবে চলে যায়। প্রতারণার অন্য পথ হলো, একটা সাধারণ কোম্পানির সঙ্গে কোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানির একীভূত করা। একীভূত করার মাধ্যমে উদ্যোক্তা আবারো লাখ লাখ শেয়ার হাতে পায়। এবং ওইসব শেয়ার বাজারে বিক্রি করে সে অতি তাড়াতাড়ি ধনী হয়। একীভূত হচ্ছে সেই কোম্পানির সঙ্গে যার আইপিওতে আসার যোগ্যতাই নেই।
এটা হলো, একটি ব্যর্থ কোম্পানির শেয়ারকে পেছনের দরজা দিয়ে জনগণের কাছে বিক্রি করা। কিন্তু বিএসইসি এক্ষেত্রেও অনুমোদন প্রদানে উদার। কেন হঠাত্ একীভূত করার উদ্যোগ নেয়া হলো? যে কোম্পানির সঙ্গে একীভূত করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, ওই কোম্পানিকে ভ্যালুয়েশন করল কে? ওই ভ্যালুয়েশন আদৌ ঠিক আছে কি? যে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সঙ্গে একীভূত করার প্রস্তাব দেয়া হলো, সেই কোম্পানিতে শতকরা হিসাবে উদ্যোক্তার শেয়ারহোল্ডিং কত? সত্য হলো, একীভূত করার পেছনে উদ্দেশ্য হলো, লাখ লাখ নতুন শেয়ার ইস্যু করে সেগুলো বিক্রি করা।
আইপিও, বোনাস শেয়ার বিক্রয়, একীভূতকরণে উদ্যোক্তা কর্তৃক অতিরিক্ত শেয়ার বিক্রয়ের মাধ্যমে কত টাকা বাইরে যাচ্ছে, তার হিসাব কেউ কি করছে? আমি বিএসইসি এবং আরো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব শেয়ারবাজারের অসুস্থতার পেছনের কারণ খুঁজতে গিয়ে ঢোল পেটানোর চেয়ে ভালো হবে কোন কোন পথে বড় রকমের অর্থ বাজারের বাইরে চলে যাচ্ছে, সে পথগুলো বন্ধ করা। শেয়ারবাজারের অন্য অসুখ হলো, এক-দুটো শেয়ার নিয়ে জুয়া খেলা।
এটাকেও স্বাভাবিক হিসেবে নেয়া যেতে পারে এজন্যই যে, বাজারে ভালো শেয়ারের অনেক অভাব। বাজার বড় হলে এবং বাজারে ভালো শেয়ারের সরবরাহ বাড়লে এ অসুখটা চলে যাবে। কিন্তু সত্য হলো, গত তিন বছরে আইপিওর মাধ্যমে যত শেয়ার বাজারে প্রবেশ করেছে, সেগুলোর অধিকাংশই জং ধরা শেয়ার।
লেখক: অর্থনীতিবিদ ও শেয়ারবাজার বিশেষজ্ঞ