acme lagoশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বুক বিল্ডিংয়ের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির প্রাথমিক গনপ্রস্তাবে আইপিও অনুমোদন পাওয়া একমি ল্যাবরেটরিজলিমিটেডের অতিরিক্ত প্রিমিয়াম বাতিল চেয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) চিঠি পাঠানো হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের স্বার্থেআজ (২২ মার্চ) মঙ্গলবার বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে সংগঠনটির সভাপতি এ.কে.এম. মিজানুর রশিদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক চিঠি বিএসইসি’তে পাঠানো হয়। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

চিঠিতে দাবী করা হয়,বিগত ৫ বছরেরও অধিক সময় ধরে পুঁজিবাজারে ক্রান্তিকাল বিরাজ করছে। ক্রমান্বয়ে পুঁজি হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। ইতিমধ্যে প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে বেশকিছু কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীরা আশানুরুপ ফল পাননি।

যার মূল কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে- অতিরিক্ত প্রিমিয়াম দিয়ে তালিকাভুক্ত করা। দীর্ঘদিনের ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা এই দুঃসময়ে প্রিমিয়াম ছাড়া কোম্পানির তালিকাভুক্তি হলে কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন।

সম্প্রতি বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে দ্য একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডকে তালিকাভুক্তির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ইলিজিবল ইনভেষ্টর তথা যোগ্য বিনিয়োগকারীরা এ কোম্পানির প্রতিটি শেয়ার ৮৫.২০ টাকায় কিনতে আগ্রহী হয়েছে। বর্তমান আইন অনুযায়ী এর ১০ শতাংশ কমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য শেয়ার দর ৭৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

যার মধ্যে ৬৭ টাকাই হচ্ছে প্রিমিয়াম। বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে কোম্পানিগুলোকে এতো বিপুল পরিমাণ প্রিমিয়াম দেওয়া সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য মড়ার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের এতো বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়ে একমির শেয়ার কেনার সামর্থ্য থাকলেও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের নেই।

অতিরিক্ত প্রিমিয়াম নিয়ে কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অন্যদিকে, সেকেন্ডারি মার্কেটেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ইতিমধ্যে অতিরিক্ত প্রিমিয়াম নিয়ে বাজারে আসা কোম্পানিগুলোর লেনদেনে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

এ ব্যাপারে সংগঠনটির সভাপতি মিজানুর রশিদ চৌধুরী জানান, গেল কয়েক বছরে টানা আইপিও অনুমোদনে দূরাবস্থায় রয়েছে পুঁজিবাজার । অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তালিকাভুক্তর পর কোম্পানিগুলোর ব্যবসায়িক মুনাফা হ্রাস পাচ্ছে। ফলে, ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

অতিরিক্ত প্রিমিয়াম দিয়ে কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলে বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবেন। তাই বিএসইসির কাছে আমাদের অনুরোধ, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এ মুহূর্তে প্রিমিয়াম বাতিল করে বিনিয়োগকারীদের বাঁচার সুযোগ দিন’।