স্টাফ রিপোর্টার: বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেন বলেছেন, ২০১৬ সাল হবে দেশের পুঁজিবাজারের জন্য অগ্রগতির বছর। তবে এর জন্য একটি স্থিতিশীল পরিবেশ দরকার বলে জানিয়েছেন তিনি।

চট্টগ্রামের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) আয়োজিত পঞ্চম পুঁজিবাজার মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেন এ সব কথা বলেন। সিএসই থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক মো. হেলাল উদ্দিন নিজামী এবং সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সিএসইর চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আবদুল মজিদ। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়ালি-উল-মারূফ মতিন।

খায়রুল হোসেন বলেন, ‘বিএসইসি পুঁজিবাজারের সার্বিক মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের দুটি পুঁজিবাজার এর সাথে থাকায় এটি আরও সহজ হয়েছে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা ঠিক থাকলে আগামী ২০১৬ সাল পুঁজিবাজারের জন্য অগ্রগতির বছর হবে।’

তিনি মেলার প্রশংসা করে বলেন, ‘সিএসইর এ আয়োজনে শুধু তাদের কথাই বলছে না বরং সামগ্রিক পুঁজিবাজারের মান উন্নয়নের কথাও বলছে।’

বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক মো. হেলাল উদ্দিন নিজামী বলেন, ‘পুঁজিবাজার এখন অনেক পরিপক্ক। শক্তিশালী একটা নিয়ন্ত্রক সংস্থা পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে। তাই বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারের উপর পূর্ণ আস্থা রাখতে পারেন।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সিএসইর চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও পুঁজিবাজার মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সংক্রান্ত নানা ধরনের পরামর্শ প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ ছাড়া মেলায় দুইশ’ জন বিশেষজ্ঞ থাকবেন, যারা মেলায় আসা দর্শনার্থীদের পুঁজিবাজার সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের সরাসরি উত্তর ও পরামর্শ দেবেন।’

সিএসইর পঞ্চম পুঁজিবাজার মেলা দুই দিনব্যাপী চলবে। মেলায় মোট স্টলের সংখ্যা ৯৮টি। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সকল দর্শনার্থীর জন্য উন্মুক্ত এই মেলা।