পুঁজিবাজারে সপ্তাহজুড়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ৫ কার্যদিবসের ২ কার্যদিবস কমলেও বাকি ৩ কার্যদিবসই বেড়েছে সূচক। এর ফলে সপ্তাহশেষে বেড়েছে বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বাড়লেও কমেছে বাজার মূলধনের পরিমাণ।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সপ্তাহ শেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স কমেছে ০.১২ শতাংশ বা ৫.৫৮ পয়েন্ট, ডিএসই শরিয়াহ সূচক কমেছে ০.৮০ শতাংশ বা ৯.৪৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই৩০ সূচক কমেছে ০.৪৭ শতাংশ বা ৮.৮৫ শতাংশ।

সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া ৩২৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৫টির, কমেছে ১৪৩টির, দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির এবং লেনদেন হয়নি ১ টির।

আর টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২১৬ কোটি ৭০ লাখ ৯২ হাজার ৯৫৬ টাকা। এর আগের সপ্তাহ শেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স কমেছিলো ০.৯৮ শতাংশ বা ৪৭.১০ পয়েন্ট, ডিএসই শরিয়াহ সূচক কমেছিলো ০.৮১ শতাংশ বা ৯.৬০ পয়েন্ট এবং ডিএসই৩০ সূচক কমেছিলো ০.৯৬ শতাংশ বা ১৭.৭১ পয়েন্ট। আর টাকার অংকে লেনদেন হয়েছিলো ১ হাজার ৯৭০ কোটি ২৭ লাখ ১০ হাজার ৩১ টাকা।

সে হিসেবে আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেন বেড়েছে ১২.৫১ শতাংশ বা ২৪৬ কোটি ৪৩ লাখ ৮২ হাজার ৯৩৪ টাকা। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৪ কোটি ৫৬ লাখ ৭৯ হাজার ১৮৯টি।  আগের সপ্তাহে যার পরিমাণ ছিল ৪৯ কোটি ৪৭ লাখ ৫৪ হাজার ৯৪৭টি।

সে হিসেবে ডিএসইতে গত সপ্তাহে শেয়ার লেনদেন বেড়েছে ৩০.৫০ শতাংশ। এদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধনের পরিমাণ কমেছে। সপ্তাহ শেষে ডিএসইর বাজার মূলধনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ১৮৮ কোটি ১৬ লাখ ২১ হাজার ১৪৩ টাকা।

আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিলো ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৭০৯ কোটি ৮৫ লাখ ২৪ হাজার ৪৬৭ টাকা। সে হিসবে আলোচিত সপ্তাহ বাজার মূলধন কমেছে ০.৪৫ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ‘এ’ ক্যাটাগরির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৭.৯৯ শতাংশ, ‘বি’ ক্যাটাগরির ৪.২৫ শতাংশ, ‘এন’ ক্যাটাগরির ৬.৭৫ শতাংশ এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরির ১.০০ শতাংশ।

স্টাফ রিপোর্টার